করোনার ধাক্কা-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরও স্থগিত
স্পোর্টস : করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা ভালই লেগেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। এ বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানে একটি টেস্ট এবং একটি ওয়ানডে স্থগিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু। গত মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যুক্তরাজ্য সফরে ৩ ওয়ানডেও ৪ ম্যাচের টি-২০ সিরিজও স্থগিত হয়েছে।
জুনে বাংলাদেশ সফরে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সফরের ২ মাস আগেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বিসিবিকে বলে দিয়েছে ‘না।’ আগামী আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের।
এই সিরিজের সূচিও হয়েছিল চূড়ান্ত।১৩ আগস্ট নিউজিল্যান্ডের ঢাকায় আগমন, এবং ২ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে একটি ২দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে সফর শুরু করে সফরের প্রথম টেস্ট জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এবং শেষ টেস্ট মিরপুর স্টেডিয়ামে আয়োজনের কথা ছিল। ২ মাস আগে সেই সিরিজটিও করা হলো স্থগিত।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে থাকা একটার পর একটা সিরিজ স্থগিত হওয়ায় এ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সামনে আছে শুধু জুলাই-আগস্ট মাসে শ্রীলংকা সফর। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের এই সফরটিও ঘোর অনিশ্চয়তায়। শ্রীলংকা ক্রিকেট বাংলাদেশ দলকে আতিথ্য দিতে রাজি থাকলেও এখনো বিসিবি তাদেরকে দেয়নি চূড়ান্ত সম্মতি। দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকায় অনুশীলনহীন ক্রিকেটাররা ক্রিকেট ম্যাচের জন্য প্রস্তুত নন বলে এই সফরটিও যে কোন সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত ঘোষনা আসার সম্ভাবনা প্রবল।
মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়েছে বিসিবি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন-‘করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে আগস্টে পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা খেলাটির সঙ্গে জড়িত কারও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে পারি না।এই অবস্থায় বিসিবি ও এনজেসির (নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট) মতে সিরিজটি পিছিয়ে দেয়াই সেরা সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি এটা দুই দলের খেলোয়াড়, স্টাফ এবং সমর্থকদের জন্য কতটা হতাশাজনক। এমন সিদ্ধান্তের পেছনের কারণটা বুঝতে পারায় এনজেসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’