রিয়ালকে উড়িয়ে ফাইনালে ম্যানসিটি
স্পোর্টস: গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটিকে দুঃস্বপ্নের রাত উপহার দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে সেমিফাইনালে বিদায় ঘণ্টা বাজায় সিটিজেনদের। টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল শিরোপা উল্লাসের মধ্য দিয়ে। কঠিন দুর্বিষহ হারের প্রতিশোধ নিল ম্যানসিটি। চলতি মৌসুমে একই মঞ্চে একই পর্যায়ে রিয়ালকে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার (১৭ মে) রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সেমির ফিরতি লেগ ৪-০ গোলে জিতেছে ম্যানসিটি। রিয়ালের আঙিনায় তারা প্রথম লেগ ড্র করেছিল ১-১ গোলে। সবমিলে ৫-১ গোলের অগ্রগামিতায় দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তুলে নেয় অবিশ্বাস্য এক জয়। ম্যাচজুড়ে ৫৯ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে সর্বমোট ১৪টি শট নেয় স্বাগতিকরা। এর মধ্যে ৮টি ছিল লক্ষ্য বরাবর।
ফিরতি লেগেও গোলমুখে দুর্দান্ত ছিলেন থিবো কর্তোয়া, বিশেষ করে আর্লিং হালান্ডের বিপক্ষে। নরওয়ে ফরোয়ার্ডের দুই দুইটি দারুণ হেড রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। অতিথিদের গোলমুখে চীনের এই প্রাচীর ভাঙেন বের্নার্দো সিলভা। দেখার মতো দুটো গোল করেন তিনি। সেটাও প্রথমার্ধে।
২৩ মিনিটে ম্যানসিটিকে প্রথম লিড উপহার দেন বের্নার্দো। কেভিন ডি ব্রুয়েনের বাড়ানো পাস ডি-বক্সের ভেতর ফাঁকায় পেয়ে যান তিনি। এতটাই জোরে শট নেন যে সেটা দেখার সুযোগই পাননি কর্তোয়া। অতঃপর কেঁপে উঠে গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের জাল।
৩৭ মিনিটে ফের বের্নার্দো চমক। সতীর্থদের শট প্রতিহত হওয়ার পর মুহূর্তেই লাফিয়ে ওঠে হেডে দ্বিতীয়বার জালের দেখা পান এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। তাতে ২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যানসিটি। দ্বিতীয়ার্ধে আদায় করে নেয় আরও দুই গোল।
৭৬ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। সুইস ডিফেন্ডারকেও অ্যাসিস্ট করেন ডি ব্রুয়েন। ইনজুরি টাইমে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন জুলিয়ান আলভারেজ। ফিল ফোডেনের সহযোগিতায় দলের চতুর্থ গোলটি করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।