চীনকে টেক্কা দিতে এয়ারক্রাফট কেরিয়ার মোতায়েন আমেরিকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের মারণ আবহে এমনিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক উত্তপ্ত। এবার জলপথেও শুরু হল দুই রাষ্ট্রের মধ্যে টানা পোড়েন। তিনটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি যে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের উত্তাপ অনেকটাই বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
এই তিনটি যুদ্ধজাহাজ নেভি ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার, ফাইটার জেট ও অন্যান্য অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বহনে সক্ষম। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই অঞ্চলে বরাবর নজর রয়েছে চীনের। তারই প্রেক্ষিতে চীনকে পালটা দিতে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এর আগে হংকং-এ নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইনের বিরোধিতা করেছিল আমেরিকা, সেই প্রেক্ষিতেও দুই দেশের সংঘাত চরমে ওঠে। অন্যদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা আধিপত্য স্থাপনের বাড়াবাড়িকেও ভালো নজরে দেখেনি আমেরিকা। দিন কয়েক আগেও চীনের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ আনে আমেরিকা।
পেন্টাগনের দাবি, করোনা নিয়ে যখন ব্যস্ত আমেরিকা তখন সুকৌশলে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রভাব বাড়াচ্ছে বেজিং। মার্কিন প্রশাসনের এহেন অভিযোগের মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় যুদ্ধ জাহাজ পাঠায় আমেরিকা। যদিও প্রথমবারের মতো মার্কিন সেই যুদ্ধজাহাজকে পাহারা দিয়ে বের করে দেয় চীনের বাহিনী।
পাশাপাশি মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে চীনের নৌবাহিনীর নির্দেশ, দ্রুত নিজের দেশে ফিরে যাও আর করোনা মোকাবিলার বিরুদ্ধে লড়াই করো। চীনের এহেন মন্তব্যে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় মার্কিন প্রশাসন। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত পার্সেল দ্বীপপুঞ্জের চীনের জলসীমায় গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস বারি ঢুকে পড়ার পর তাকে বের করে দেয়া হয়।