ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে: চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রেক্ষিতে চলমান বিক্ষোভ প্রমাণ করছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন ‘বর্ণবাদী’ প্রেসিডেন্টের শাসনে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রে’ পরিণত হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক নিবন্ধে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। পত্রিকাটি চীনের কমিউনিস্ট সরকারে মুখপত্র হিসেবে বিবেচিত।
পত্রিকাটির ওই নিবন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘দুর্বল, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষোভের জন্য চীনকে দায়ী করে যেসব মার্কিন রাজনীতিবিদ বক্তব্য দিচ্ছেন, চলমান বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের জন্য সেসব রাজনীতিবিদদেরকেই দায়ী করে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে চীন।
গত ২৫ মে, সোমবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক দেশটির শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে শাস্বরোধে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর টানা ১২ দিন ধরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। বর্ণবাদী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে দেশটির প্রায় সব শহরে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভ চলছেই।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই হত্যা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলেছে। কঠোর হস্তে বিক্ষোভ দমনের পথে নেমেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারফিউ জারি, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন ছাড়াও ‘লুটেরাদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া সামরিক বাহিনী নামানোরও হুমকি দেন।
বিক্ষোভে বলপ্রয়োগের অভিযোগে খোদ দেশের ভেতরে নিজ দল, বিরোধী দল এবং সাবেক অন্তত চারজন প্রেসিডেন্ট তার কঠোর সমালোচনা করেছেন। আর ঠিক এই সময়ে চীনা সরকারের ওই মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে ট্রাম্পকে বর্ণবাদী আখ্যা দেওয়া ছাড়াও তাকে ‘ব্যর্থ, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অযোগ্য’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্ণনা করেছে।
প্রকাশিত ওই নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা স্পষ্টতই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের উদাহরণ। আর এটা হয়েছে দেশটির একজন বর্ণবাদী প্রেসিডেন্টের শাসনামলে। এটাই কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’, এমন প্রশ্ন তোলা মানুষের সংখ্যা দেশটিতে আরও বেড়েছে।
পত্রিকাটি বলছে, ‘গোটা বিশ্ব দেখছে, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ভয়াবহ দাঙ্গা, লুট, বিক্ষোভ আরও সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়ছে। সমাজের এই পদ্ধতিগত সমস্যার দিকে নজর না দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রথাগতভাবে বামপন্থীদের দোষারোপের মতো ‘ব্লেম গেম’ শুরু করছে; এরমধ্যে প্রথম সারিতে আছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।’