সুখবর দিল ডব্লিউএইচও, চলতি বছরে ভ্যাকসিন পাবে বিশ্ববাসী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মরণঘাতী করোনা ভাইরাস রুখতে একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বিশ্বের সমস্ত ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা।
অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত এই ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি আশা করছে। সংস্থাটি আশা করছে- এ বছরের শেষ নাগাদ করোনাভাইরাসের কয়েক লাখ ডোজ টিকা তৈরি সম্ভব হবে।
সেইসঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষায়িত এই সংস্থাটি মনে করছে- এসব টিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে দেওয়া প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডব্লিউএইচওথর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে চার লাখ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৮৫ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। দীর্ঘ এই পাঁচ ছয় মাসেও ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরালো প্রচেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত নিরাপদ টিকা উদ্ভাবন সম্ভব হয়নি।
ডব্লিউএইচওথর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথান জানান, বর্তমানে বিশ্বে করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে দুইশটিরও বেশি প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে দশটি মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভাগ্য খুবই ভালো হলে এই বছরের মধ্যে এক থেকে দুটি সফল টিকা পেয়ে যাবো।থ এই অনুমানের ভিত্তিতে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো দ্রুত কাজ চালানোয় ২০২১ সালের শেষ নাগাদ দুইশথ কোটি ডোজ টিকা তৈরি করা যাবে।
করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবন সফল হলে তিন গ্রুপের মানুষের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়বে বলে জানান সৌম্য স্বামীনাথান। তারা হলেন, চিকিৎসাকর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মতো সামনের কাতারের কর্মী; সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক এবং ডায়বেটিক রোগী এবং শহুরে বস্তি বা কেয়ার হোমে অবস্থান করা উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা মানুষেরা।