সংক্রমন রোধে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে কাউন্সিলর রতন

সময়: 9:00 am - June 19, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 426 বার
সংক্রমন রোধে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দুঃস্থ অসহায় মানুষের পাশে কাউন্সিলর রতন

ভোরের পাতা: মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরে থাকা কর্মহীন, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন। এজন্য এলাকার বসবাসরত মানুষেরা তাকে মানবিক কাউন্সিলর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

জানা যায়, সংক্রমন রোধে দক্ষিণের এই মানবিক কাউন্সিলর অসংখ্য অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছেন।

একই সঙ্গে করোনায় মধ্যবিত্ত যেসব পরিবার প্রকাশ্যে ত্রাণ নিতে পারেন না রাতের আধারে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।

এ এলাকার বসবাররত ছালেমা বেগম বলেন, রতন ভাই সব সময় আমাদের পাশে আছে। বিপদে আপদে আমরা সব সময় তাকে পায়।

এ এলাকায় আরেক বসবাসরত সাব্বির মিয়া বলেন, করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে তিনি আমাদের পাশে আছে। তার মত যদি অন্যান্য কাউন্সিলররা জনসেবাই এগিয়ে আসতো তাহলে মানুষের খাবারের সমস্যা হতো না। তিনি বলেন, যখন আমাদের বাসায় খাবার ছিলো না তখন রতন ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম তিনি বাসায় খাবার পৌছেঁ দিয়েছিলেন।

হালিমা বেগম বলেন, আমি এলাকার ভোট না তবে যে কয়দিন রতন ভাইয়ের অফিসে গিয়েছিলাম খালি হাতে ফিরে আসি নাই।

দেখা গেছে, করোনা সংক্রমন রোধে অনেক কাউন্সিলর মাঠের থেকে মোবাইল ফোনে বেশি সেবা দিয়েছেন কিন্তু কাউন্সিলর রতন মোবাইল ফোনে সেবাসহ নিজ কার্যালয়ে থেকে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনেই জনসেবাই লিপ্ত ছিলেন।

কাউন্সিলর অফিসের তথ্য মতে জানা গেছে, ২০ নং ওয়ার্ডের মানবিক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন সংক্রমন রোধে ১২ হাজারের ও অর্ধিক পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন। রতনের পক্ষ থেকে সমাজের ধনী মানুষদের অনুরোধ করে বলেছিলেন আপনারা অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁন কিন্তু তাতে তেমন কোন সাড়াঁ দেন নি এ এলাকায় বসবাসরত ধনী মানুষেরা।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে সংক্রমন ঠেকাতে সরকারি ছুটির শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে ২০ নং ওয়ার্ডের প্রায় সব জায়গায় এলাকার কর্মহীন, অসহায় ও দুঃস্থ এবং ছিন্নমূল মানুষের কাছে এ খাদ্য সহয়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি।।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন বলেন, শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি নয়, উন্নত নাগরিক সেবার মডেল ওয়ার্ড হিসেবে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কে গঠন করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অতীতে যেমন কাজ করেছি, এবারো একসঙ্গে ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করে যাব।

তিনি বলেন, আমি করোনা সংক্রমনের শুরু থেকে সাধারণ মানুষের পাশে আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালন করছি।

মানবিক এই কাউন্সিলর রতন আরো বলেন, বিগত সময়ে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রায় মহামারি আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু সেগুনবাগিচা ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা এতে খুবই কম আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এডিস মশার লার্ভাও সবচেয়ে কম পাওয়া গেছে এ এলাকায়। আর এটা সম্ভব হয়েছে ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার কারণে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারো করোনা মোকাবিলায়ও আমরা সফল হব ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, আমার ওয়ার্ডে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আছে যারা মহাসংকটেও চক্ষুলজ্জায় সামনাসামনি এসে খাদ্যসহায়তা নিতে পারেন না। এ ধরনের পরিবারগুলো খোঁজখবর নিয়ে নির্ভয়ে তাদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সূত্রমতে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন সংক্রমন শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে আছে। শুধু করোনা ভাইরাস সংক্রমন নয়, প্রতিটা সংকটে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওই সূত্রটি জানাই, রতনের এই মানবিক কাযর্ক্রমের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সে পুরুষ্কার পেতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে জয়লাভ করে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করার ফল হিসেবে ২০২০ এর আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও ফের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন।

 

ভোরের পাতা/ভিআরপা

এই বিভাগের আরও খবর