জেলে থেকে কোনো ফিলিংস নেই, সব ফিলিংস হারিয়ে গেছে : পরীমণি
ঢাকা: দীর্ঘ ২৭ দিন জেলজীবন পর কারামুক্ত হলেন সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কারাগার থেকে বেরিয়ে যেন মুক্ত আকাশে উড়ছেন পরী। এ সময় পরীমণিকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। দুপুর ১টার দিকে বাসায় ফেরেন তিনি। ২৭ দিনের জেলজীবন কাটিয়ে বাসায় ফিরেই বিকালে কথা বলেন।
কেমন ছিল এই ২৭ দিন?
পরীমণি: কোনো ফিলিংস নেই। সব ফিলিংস হারিয়ে গেছে, জেলে থেকে। নিয়মিত জীবন-যাপন থেকে হঠাৎ করে কী যে হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না। সবকিছু থেকে বিরতি ছিল। তবে জেলজীবনের ২৭ দিনের গল্প ভক্তদের সাথে অন্য এক দিন শেয়ার করব।
বাসায় এসে কী খেলেন?
পরীমণি: মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছি। বাসায় আসার পর মামা ভাত খাইয়ে দিয়েছেন। আসলে এই ২৭ দিন কিছু মিস করিনি। একটা স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম ভাঙলো বাসায় চলে আসলাম।
কাজে ফেরার পরিকল্পনা কী?
পরীমণি: কারো সাথেই তো এতদিন যোগাযোগ ছিল না। কদিন বিশ্রাম নিয়ে সবার সাথে কথা বলে কাজ শুরু করব। এক মাস পুটু (কুকুরছানা) গোসল ছাড়া ছিল। বাসায় এসে ওরে গোসল করিয়ে দিলাম। লবণ পানিতে পা ভিজিয়ে বসে আছি। বাসায় এসে জানতে পারলাম বাসা ছাড়ার জন্যে নোটিশ দিয়েছে। এই মুহূর্তে আমি কোথায় যাব? জীবনটা অতিষ্ঠ করে ছেড়ে দিয়েছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা কেমন ছিল?
পরীমণি: সংবাদকর্মীরা আমার জন্যে অনেক কিছু করেছে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত তাদের সাপোর্ট পাচ্ছি। ধন্যবাদ দিয়ে তাদের ছোট করব না। এভাবেই সবসময় আমার পাশে থাকবেন। আমি কিন্তু একদিনে পরীমণি হইনি। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে।
‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ কার উদ্দেশে এ বার্তা?
পরীমণি: কুকুরছানাদের জন্যে (হা..হা..হা..)। আমার আশপাশে সারাক্ষণ কিছু মানুষ ছিল, তারা আমাকে লোভ দেখানো ভালোবাসা দেখিয়েছে। তাদের এতদিন না চিনতে পারলেও বিপদে পড়ে ঠিকই চিনে গেছি, কে আপন আর কে পর। না বুঝে এতদিন মিশেছি, আর নয়। ২৭ দিনের জেলজীবন দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। যত দ্রুত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারব, তত তাড়াতাড়ি মনে হবে আমার আত্মার সাথে জান চলে এসেছে। কাজে না ফেরার আগে শান্তি নেই।