বাবার ভয়ে ‘ইউসুফ খান’ থেকে ‘দিলীপ কুমার’

সময়: 5:07 pm - July 7, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 53 বার
বাবার ভয়ে ‘ইউসুফ খান’ থেকে ‘দিলীপ কুমার’

বিনোদন ডেস্ক: একটা অধ্যায়ের অবসান। না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার। বুধবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। প্রবাদপ্রতীম এই অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রের একটা যুগের সমাপ্তি ঘটলো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে শোক প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্টরা।

১৯২২ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ কুমার। তার আসল নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। তার বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ সারোয়ার খান, যিনি একজন ফল ব্যবসায়ী ছিলেন। দিলীপ কুমার নামে দ্যুতি ছড়ানো এই অভিনেতা তার আসল নাম বদল করেছিলেন বাবার ভয়ে।

বলছি, অভিনেতার নাম পাল্টানোর নেপথ্যের সেই গল্প। কৈশোরে মুম্বাই থেকে পুনে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য পরিচালিত একটি ক্যান্টিনে কাজ নেন ইউসুফ খান। কিন্তু বছর কয়েক সেখানে কাজ করার পর আবারও ফিরে আসেন মুম্বাইতে, বাবার সঙ্গে ব্যবসার কাজেই হাত লাগান। আর সেই সূত্রেই আলাপ হয় সেই সময়ের প্রখ্যাত সাইকোলজিস্ট ডা. মাসানির সঙ্গে, যিনি তাকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘বোম্বে টকিজ’র মালিকের সঙ্গে।

এরপরই দিলীক কুমারের কাছে প্রস্তাব আসে ‘জোয়ার ভাঁটা’য় অভিনয়ের। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করার সময় থেকেই নাম বদলে রেখেছিলেন দিলীপ কুমার। ইউসুফ থেকে তাকে দিলীপ কুমার নাম রাখতে সাহায্য করেছিলেন তার প্রথম সিনেমার প্রযোজক দেবিকা রানি। সে সময় বলিউডে নাম বদল ছিল বেশ সাধারণ ঘটনা। জনপ্রিয়তা পেতে ছোট নাম বা আকর্ষণীয় নামের পিছনে ছুটতেন অনেকেই।

তবে দিলীপ কুমার নাম বদল করেছিলেন শুধমাত্র তার বাবার ভয়ে। বলা যায়, বাবার কাছে লাঞ্চিত হওয়ার ভয়ে। নিজের আত্মজীবনীতে এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন অভিনেতা।

দিলীপ কুমার জানান, প্রথমে দেবিকা রানিই তাকে নাম বদলানোর পরামর্শ দেন। তবে তিনি রাজি হয়েছিলেন অন্য কারণে। দিলীপ কুমার লেখেন, তার বাবা অভিনয় পেশার একেবারে বিরোধী ছিলেন। এসব তার কাছে ‘আকাজ’ মনে হতো। বন্ধুপুত্র রাজ কাপুর অভিনয়ে পা রাখাতে ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য বাবা মেনে নিয়েছিলেন ছেলের এই কাজ। অভিনয়ের প্রশংসাও করেছিলেন।

১৯৪৪ সালে সিনেমা জগতে পা রাখেন দিলীপ কুমার। ‘মুঘল-ই-আজম’, ‘দেবদাস’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘আন্দাজ’, ‘মধুমতী’ এবং ‘গঙ্গা-যমুনা’র মত বহু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। বলা যায়, সে সময় বলিপাড়ায় সেনসেশন ছিলেন এই সুদর্শন তরুণ। ১৯৯৮ সালে শেষবার সিনেমায় অভিনয় করেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

এই বিভাগের আরও খবর