জেলহত্যা : ৪৫ বছর পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে ১০ খুনি
ঢাকা: আড়াই মাসের স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাকের সম্মতিতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে সামরিক বাহিনীর কজন সদস্য, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডেও অংশ নিয়েছিল।
পঁচাত্তরের ৩রা নভেম্বর কারাগারের ভেতরে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের পয়তাল্লিশ বছর পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে দশ খুনি। তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের পাশাপাশি নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে ‘বিশেষ কমিশন গঠনের’ দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নেতাদের পরিবার।
পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতির আসনে খন্দকার মোশতাক। গ্রেপ্তার হন চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জমান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী।
হত্যাকাণ্ডের দুদিন আগে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার সঙ্গে সব শেষ দেখা হয় পরিবারের সদস্যদের। সেদিনের স্মৃতি জানালেন তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা।
জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে মাহজাবিন আহমদ মিমি বলেন, খন্দকার মুশতাকের সম্মতিতে ৩রা নভেম্বর কারাগারে ঢুকে জাতীয় চার নেতাকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে কজন সেনা সদস্য। বাবার জন্য কারাগারে খাবার পাঠানো হয়েছিল, যা ফেরৎ এসেছিল।
পরদিন জাতীয় চার নেতাকে হত্যার খবর পান স্বজনেরা। পরিবারের অন্য সদস্যদের ওপর চলতে থাকে সীমাহীন নির্যাতন।
২০১৫তে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় প্রকাশের মধ্যদিয়ে শেষ হয় জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, যাতে তিন সেনা সদস্যকে মৃতুদণ্ড এবং ১২ সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডিতদের মধ্যে দশ খুনি এখনও পলাতক। তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের পাশাপাশি নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি পরিবারের সদস্যদের।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন রাজনীতিতে আর মাথাচড়া দিতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যরা।