বাজেটে কি কি সুখবর থাকছে
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্ভাব্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন। এটি জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি ২০১৯-২৯ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে পাঁচ লাখ এক হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা করা হয়।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বার্থে কিংবা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কিছু পণ্যে থাকবে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাব। এর ফলে কিছু পণ্যের দাম কমতে পারে।
যেসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে সেসবের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ।
ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর সীমা বাড়ছে না গত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়ানোর জন্য জোরালো দাবি উঠেছে। তবে সেই সীমা বাড়েনি। আগামী অর্থবছরের জন্যও এই কর সীমা বাড়ছে না বলে জানা গেছে। ফলে কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত হলে তাকে এখন যেমন আয়কর দিতে হচ্ছে না, এই সুবিধা একইভাবে বহাল থাকবে আগামী অর্থবছরের জন্যও।
সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সব ধরনের তামাক পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানির জন্য করের হার ৪৫ শতাংশ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানির করের হার ৪০ শতাংশ, তালিকার বাইরে থাকা মোবাইল ফোন কোম্পানির করের হার ৪৫ শতাংশ। এছাড়া পোশাক খাতে করপোরেট কর ১০ থেকে ১২ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ১৫ শতাংশ, পাটকলে ১০ শতাংশ। একই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ। অর্থাৎ কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে ১০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা পায়।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাস্ক, পিপিই, গ্লাভস, গগলস, নানা ধরনের রাসায়নিক পণ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিতে সব ধরনের কর মওকুফ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে কিট উৎপাদনের কাঁচামাল, এ সংক্রান্ত কাজে গবেষণার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য ও যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হতে পারে। ফলে এসবের দামও কমবে।
দাম কমতে পারে হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউসহ জরুরি সেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের। জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসকে উৎসাহিত করতে এ সংক্রান্ত যাবতীয় যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। ভ্যান্টিলেটর উৎপাদনে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে গবেষণা ও উৎপাদনে আরো আকৃষ্ট করতে এ সংক্রান্ত যন্ত্রাংশে বিশেষ শুল্ক ও ভ্যাট ছাড় থাকবে বাজেটে। তাই এসব পণ্যের দাম কমবে।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত ক্ষুদ্র শিল্পের কাঁচামালে অগ্রিম কর কমতে পারে। ফলে ক্ষুদ্র শিল্পের পণ্যে দাম কমতে পারে। শুল্ক ছাড়ের ফলে কমতে পারে পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য শিল্প এবং অগ্নিনির্বাপণে ব্যবহৃত উপকরণের দাম।