ফেসবুকে ‘ঘুরছে’ এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন, জানেনা কর্তৃপক্ষ!
ঢাকা: করোনা ভাইরাসের কারণে ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পেছানো হয়েছে পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম। সম্প্রতি এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এইচএসপি পরীক্ষার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কাছাকাছি সময়ে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তখন সিদ্ধান্ত নেয়াহবে। সার্বিক পরিস্থিতি বুঝে যদি আরওছুটির প্রয়োজন হয় তাহলে সামনে গ্রীষ্মকালীন ছুটির সঙ্গে সেটি অ্যাডজাস্ট করা হবে।
এদিকে আগামী ১৫ জুলাই থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, তা সঠিক নয়। করোনাকালে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয় সাব কমিটির নজরে এসেছে। সেজন্য সোমবার (৮ জুন) জরুরি ভিত্তিত এ বিষয়ে এক নোটিশ জারি করেছে বোর্ড।
এতে বলা হয়, কে বা কারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার একটি মনগড়া সময়সূচি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে যে আগামী ১৫ জুলাই থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে এসেছে। করোনার এ সংকটকালে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা বোর্ডের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের পোস্টে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হন সেজন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২২ মার্চই পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর ঈদুল ফিতরের পর পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার সেটি পিছিয়ে যেতে পারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে গত (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘সব মানুষ এখন করোনা ভাইরাসে আতঙ্কে ও অনিশ্চয়তায় রয়েছে। সব স্কুল-কলেজ বন্ধ। শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তায়। অনলাইন ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু কিছু ক্লাস চললেও শিক্ষার্থীরা সেভাবে এগিয়ে যেতে পারছে না। বরং কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাল্লাহ্।’