পুলিশি জেরায় সুশান্তের প্রেমিকার দেয়া পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ভারত: সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যাকে ঘিরে যেসব ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে সেগুলোর জট ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। মুম্বাই পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসছে অনেক তথ্য। প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করে জানা গেছে বেশকিছু খবর।
থানায় ডেকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া উল্লেখ করেন, কয়েক মাস ধরে সত্যিই বিষণ্নতায় ভুগছিলেন সুশান্ত। তবে ওষুধ ব্যবহার করতেন না তিনি। পুলিশকে এ তথ্যও দিয়েছেন রিয়া। হতাশার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনকে বেছে নিয়েছিলেন প্রয়াত তারকা। তাকে ওষুধ নিতে রাজি করাতে অনেক চেষ্টার পরও ব্যর্থ হন বলে দাবি রিয়ার।
সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেকদিন ধরে। তারা একসঙ্গে বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু কখনও সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে মুখ ফুটে বলেননি কেউই। ১৮ জুন মুম্বাই পুলিশের সামনে সুশান্তের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া। তিনি জানান, ভারতে অবরুদ্ধ অবস্থা (লকডাউন) থাকাকালে একই অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন তারা। কিন্তু একদিন ঝগড়ার কারণে রিয়া বেরিয়ে চলে যান। তবে এরপরও মোবাইল ফোনে কথা ও মেসেজে আদান-প্রদান হয়েছে তাদের।
পুলিশকে রিয়া জানান, তাকেই বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সুশান্ত। এ বছরের নভেম্বরে তাদের সাত পাকে বাঁধা পড়ার কথা ছিল। জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে নতুন বাড়ি খুঁজছিলেন দু’জনে। বিয়ের আগে রুমি জাফরির পরিচালনায় একটি ও অন্য একটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয়ের পরিকল্পনা ছিল সুশান্ত-রিয়ার। পুলিশকে এ তথ্য জানাতে ভোলেননি তিনি। তার মোবাইল ফোনে সুশান্তের সঙ্গে তোলা ছবি ও ভিডিও এবং মেসেজ স্ক্যান করা হয়েছে থানায়।
বান্দ্রা থানায় ঢোকার আগে রিয়ারিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ৫ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
১. সুশান্ত সিং রাজপুত ও রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক ছিল, এ বছরের নভেম্বরে তারা বিয়ে করার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।
২. সুশান্তের আত্মহত্যার কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে রিয়ার ঝগড়া ও ছাড়াছাড়ি হয়।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতেন না সুশান্ত।
৪. সুশান্তের হাতে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ ছিল।
৫. সুশান্তের শেষকৃত্যে তার পরিবার রিয়ার কাছ থেকে নিজেদের দূরে রেখেছিল।
এর আগে গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ে বান্দ্রার কার্টার রোডে নিজের ফ্ল্যাটে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিছানার চাদর গলায় প্যাঁচিয়ে ঝুলে থাকায় অ্যাসপিক্সিয়ার (অক্সিজেনের ঘাটতিতে দম বন্ধ হওয়া) কারণে মারা গেছেন তিনি। তার ঘরে পাওয়া গেছে প্রেসক্রিপশন ও অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।