ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের দাবি ছাত্রলীগের
ঢাকা: ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ধর্ষণবিরোধী এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এর আগে ধর্ষক ও নারী নিপীড়নকারীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
সমাবেশে নুর-মামুনদের দ্বারা সারাদেশে ধর্ষণ ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ বর্তমানে ধর্ষক পরিষদে পরিণত হয়েছে। সেই পরিষদের নুর গ্যাংরা আমার বোনকে ধর্ষণ করে আবার লাইভ প্রোগ্রামে পতিতা বানায়। এই নুর গ্যাংদের প্রতিহত করুন।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য দাবি করেন, যারা ছাত্রলীগকে জানে না তারা বাংলাদেশকেই জানে না।
তিনি বলেন, ধর্ষণকারীদের কোনো শ্রেণীভুক্ত করা যায় না। আগে ছাত্রলীগকে জানবেন, তারপর ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলবেন। যারা ছাত্রলীগকে জানে না, তারা বাংলাদেশকে জানে না।
ঢাবি শিক্ষার্থীর করা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা হাসান আল মামুন ও ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ইঙ্গিত করে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সম্প্রতি দেশব্যাপী ধর্ষণ নিয়ে যে তোলপাড় শুরু হয়েছে তা প্রথমে ঢাবি শিক্ষার্থীর করা মামলার মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলেছি, অপরাধী যে-ই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যান্য অনেক ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ঢাবি শিক্ষার্থীর সেই মামলার কোনো আসামীকেই গ্রেফতার করা হয়নি।’
সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা হাসান আল মামুন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে ‘পাগল’ আখ্যা দিয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, তথাকথিত পাগল নুর-মামুন গ্যাং ধর্ষণ কাণ্ড ঘটাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলতে চাই , অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করুন। না হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হাসান শাহাদাত, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।