​বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৪ লাখ ৮ হাজার, আক্রান্ত ৭২ লাখ

সময়: 10:53 am - June 9, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 63 বার
করোনায় বৈশ্বিক আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৭৭ লাখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। মহামারি মোকাবিলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা বিধি নিষেধ। যদিও কিছু দেশ সংক্রমণ কমতে থাকায় লকডাউন শিথিল করছে। তারপরও এতে পুরো দুনিয়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এরপর চারমাস পেরোলেও নিয়ন্ত্রণের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মারা গেছে ৪ লাখের বেশি, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭২ লাখ। এর মধ্যেও আশার ব্যাপার হলো এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৭২ লাখ ১ হাজার ৫৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ২৬০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৭৫ হাজার ২৮০ জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৫৭ জনের।

বিশ্বে বর্তমানে ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭ জন শনাক্ত করোনা রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ লাখ ২৬৬ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর বাকি ৫৩ হাজার ৮০১ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছে।

ভাইরাসটিতে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৭, সুস্থ হয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৫, মারা গেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬১ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

আর যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে, সেগুলো হলো- ব্রাজিলে আক্রান্ত ৭ লাখ ১০ হাজার ৮৮৭, সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০২, মারা গেছে ৩৭ হাজার ৩১২ জন। রাশিয়ায় আক্রান্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৮, সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৮৮, মারা গেছে ৫ হাজার ৯৭১ জন। স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৭, সেখানে সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করছে না দেশটির সরকার, মারা গেছে ২৭ হাজার ১৩৬ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৯, সেখানে সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করছে না দেশটির সরকার, মারা গেছে ৪০ হাজার ৫৯৭ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৭৮, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৪, মারা গেছে ৩৩ হাজার ৯৬৪ জন। পেরুতে আক্রান্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯৬, সুস্থ হয়েছে ৮৯ হাজার ৫৫৬, মারা গেছে ৫ হাজার ৫৭১ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৩৩, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০, মারা গেছে ৮ হাজার ৭৯২ জন।

এছাড়া ইরানে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩২, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬০, মারা গেছে ৮ হাজার ৩৫১ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৭১ হাজার ১২১, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৮০, মারা গেছে ৪ হাজার ৭১১ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৮, সুস্থ হয়েছে ৭১ হাজার ৬২, মারা গেছে ২৯ হাজার ২০৯ জন। চিলিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৬, সুস্থ হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৩১, মারা গেছে ২ হাজার ২৬৪ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত ১ লাখ ২০ হাজার ১০২, সুস্থ হয়েছে ৮৭ হাজার ৬৩৩, মারা গেছে ১৪ হাজার ৫৩ জন। কানাডাতে আক্রান্ত ৯৬ হাজার ২৪৪, সুস্থ হয়েছে ৫৪ হাজার ৮৩৩, মারা গেছে ৭ হাজার ৮৩৫ জন।

এদিকে, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮৩ হাজার ৪৩, সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ৩৫১, মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৫৯ হাজার ৩৪৮, সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৩১৫, মারা গেছে ৯ হাজার ৬০৬ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্ত ৫০ হাজার ৮৭৯, সুস্থ হয়েছে ২৬ হাজার ৯৯, মারা গেছে ১ হাজার ৮০ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৭৩৯, সেখানে সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করছে না দেশটির সরকার, মারা গেছে ৬ হাজার ১৬ জন। সুইডেনে আক্রান্ত ৪৫ হাজার ১৩৩, সেখানে সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করছে না দেশটির সরকার, মারা গেছে ৪ হাজার ৬৯৪ জন। ইকুয়েডরে আক্রান্ত ৪৩ হাজার ৩৭৮, সুস্থ হয়েছে ২১ হাজার ২০, মারা গেছে ৩ হাজার ৬৪২ জন। কলম্বিয়ায় আক্রান্ত ৪০ হাজার ৭১৯, সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৪২৭, মারা গেছে ১ হাজার ৩০৮ জন। মিশরে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৪৪৪, সুস্থ হয়েছে ৯ হাজার ৩৭৫, মারা গেছে ১ হাজার ২৭১ জন। পর্তুগালে আক্রান্ত ৩৪ হাজার ৮৮৫, সুস্থ হয়েছে ২১ হাজার ১৫৬, মারা গেছে ১ হাজার ৪৮৫ জন।

অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত ৩২ হাজার ৩৩, সুস্থ হয়েছে ১০ হাজার ৯০৪, মারা গেছে ১ হাজার ৮৮৩ জন। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ৩০ হাজার ৯৭২, সুস্থ হয়েছে ২৮ হাজার ৭০০, মারা গেছে ১ হাজার ৯২৩ জন। পোলান্ডে আক্রান্ত ২৭ হাজার ১৬০, সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ১৯৬, মারা গেছে ১ হাজার ১৬৬ জন। আয়ারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৫ হাজার ২০৭, সুস্থ হয়েছে ২২ হাজার ৬৯৮, মারা গেছে ১ হাজার ৬৮৩ জন। ফিলিপাইনে আক্রান্ত ২২ হাজার ৪৭৪, সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭, মারা গেছে ১ হাজার ১১ জন। রোমানিয়ায় আক্রান্ত ২০ হাজার ৬০৪, সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৮২৬, মারা গেছে ১ হাজার ৩৪৩ জন।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে আক্রান্ত ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ২১৫, মারা গেছে ৭ হাজার ৪৭৩ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৩১৭, সুস্থ হয়েছে ৩৫ হাজার ১৮, মারা গেছে ২ হাজার ১৭২ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত ৬৮ হাজার ৫০৪, সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৫৬০, মারা গেছে ৯৩০ জন।

প্রসঙ্গত, এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, বারবার কাঁপুনি, পেশিতে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া। তাই এগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর