বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গতির বোলার কে?
স্পোর্টস: বল হাতে গতির ঝড় মানেই পাকিস্তানি কিংবদন্তি শোয়েব আখতার। তার বল ছিলো আগুনের গোলার মতো। গতি দিয়ে বিভ্রান্ত করতেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। ১০০ মাইল গতিতে বল করে সবার ধরা ছোয়ার বাইরে রাউয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। পৃথিবীতে এখন আর তেমন গতির বোলার দেখা যায় না। তবে টেস্ট ক্রিকেট জিততে গতির বোলার ছাড়া উপায় নেই।
গতির বোলিং নিয়ে চিন্তা করলে বাংলাদেশ এখনও তেমন কোন বোলারের আগমন ঘটেনি। যে গতির ঝড়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চমকে দিবেন। তবে আশা দেখানোর কাজটা করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি এসেছিলেন রকেটের গতিতে, গতির ঝড় তুলতে। তিনি ক্যারিয়ারের শুরুতে ১৪০ কিমিতে বলও করতেন। এ জন্যই তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু অতিরিক্ত ইনজুরিতে উদিয়মান নক্ষত্রটির পরে যেতে সময় লাগেনি। যদিও গতি কমিয়ে খেলা চালিয়ে গেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুরর রহমান কাটার দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করলেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গতির তিনটি বলের স্থানে তা্র নাম নেই। বর্তমান পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গতির তিনটা বল খুঁজতে গেলে দুই জনের নাম চলে আসে। রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ গতির তৃতীয় বলটি করেছিলেন রুবেল হোসেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৮ কিমি গতিতে বল করেছিলেন তিনি। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ গতির বল। তিন বছর পর ২০১৮ সালে রুবেলকে ছাড়িয়ে গেছেন স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদ। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৮ কিমি বলে করে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে রুবেল হোসেন নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের শুরুতে। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৯.৫ কিমিতে রেকর্ড গড়েছেন। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটে জোরে বলের কীর্তি।