বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার, কাল ঘোষণা
ঢাকা: এক কার্যকরি ভ্যাকসিনই বাঁচাতে পারে পুরো মানবজাতিকে। অথচ কয়েক মাস চেষ্টা করেই মরণঘাতি এই করোনা ভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারে বিশ্বের সব গবেষকরা।
তবে বাংলাদেশের একটি গবেষক দল দাবি করেছে যে তারা ‘কোভিড-১৯’ তথা করোনা ভাইরাসে প্রতিরোধে টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে।
বুধবার (০১ জুলাই) অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এই দাবি করেছেন। তাদের দাবি, তারা পশুর শরীরে এই ভ্যাকসিনের সফলতা পেয়েছেন। মানবদেহেও এর সফলতা পাওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন তারা।
শুধু মৌখিক না, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টায় ‘কোভিড -১৯’ এর টিকা আবিষ্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০১৫ সালে ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিক্স, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।
তারা জানায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে ‘গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড’ গবেষণার পাশাপাশি কোভিড-১৯ ‘শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ’ আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও ড. কাকন নাগ এবং সিওও ড. নাজনীন সুলতানার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধে টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।
তাদের মতে, এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেসে ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি। উক্ত সব সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকার টার্গেট নিশ্চিত করে। যা যৌক্তিকভাবে এই ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে বলে আশা করছেন তারা।
তারা উক্ত টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেসে জমা দিয়েছেন যা ইতিমধ্যেই ওই প্রতিষ্ঠানকর্তৃক স্বীকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণাগারে আবিষ্কৃত টিকাটির বিশদ বিশ্লেষণের পর গবেষণাগারে প্রাণীর মডেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে যথাযথ এন্টিবডি তৈরিতে সন্তোষজনক ফলাফল পেয়েছেন বলে দাবি করছেন তারা।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, উক্ত প্রেক্ষাপটে এই টিকাটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিরীক্ষার লক্ষ্যে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই সুরক্ষা ও কার্যকারিতা পরীক্ষায় সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।