জয়কে হত্যাচেষ্টা: শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনের সাত বছরের কারাদণ্ড
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান ছাড়া এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি ৩ আসামি হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় ৫ বছর এবং আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান। দণ্ডবিধির ৩০৭ এবং ১২০-বি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময়ে জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাসহ আসামিরা ঢাকা শহরের পল্টনের জাসাস কার্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় একত্র হয়ে বৈঠকে অংশ নেন। তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অপরাধ ঘটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় রিজভী আহাম্মদকে।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কে জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল। সেখানে এরিমধ্যে এই মামলার বিচার হয়েছে। মামলার রায়ে সেখানকার বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের ৪২ মাসের কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া ঘুষ লেনদেনের জন্য এফবিআইয়ের এক এজেন্টের বন্ধুর ৩০ মাসের কারাদণ্ড হয়।