সংযমের মাস রমজানেও কমছে না রাজনৈতিক উত্তাপ
ঢাকা: সংযমের মাস রমজানেও কমছে না রাজনৈতিক উত্তাপ। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে হাজারের বেশি ইফতার পার্টি করতে চায় বিএনপি। এছাড়াও দলটি রমজানজুড়ে অবস্থান কর্মসূচি-মানববন্ধন ও মতবিনিময়ের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে রমজান মাসে রেকর্ডসংখ্যক নতুন সদস্য সংগ্রহের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে গণহত্যা দিবসে বিএনপি চুপচাপ কেন সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিকে, রমজান মাসেও রাজপথ ছাড়তে চায় না বিএনপি। গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ১ এপ্রিল সব জেলায় দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি, ৮ এপ্রিল বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
শনিবার এক সভায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আগামী ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল প্রচারপত্র বিলি, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা ও মহানগরে সভা-সমাবেশ-মতবিনিময় সভা করতে চায় দলটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইফতারকেন্দ্রিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে সারা দেশের কর্মীদের সক্রিয় ও সজাগ রাখতে চায় দলটি। এছাড়া যুগপৎ শরিকদের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত করার পাশাপাশি আন্দোলনে সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন পেশাজীবী এবং প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সাথেও সম্পর্ক জোরদার করতে চায় হাইকমান্ড। এর বাইরে ইফতারের মাধ্যমে যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা দলগুলোকেও কাছে টানার চেষ্টা চালাবে বিএনপি।
অন্যদিকে, বসে নেই আওয়ামী লীগও। দলটির নেতারা জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দলের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে রমজান মাসে রেকর্ডসংখ্যক নতুন সদস্য সংগ্রহে গুরুত্ব দেবে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগর, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বড় দুই দলের বাইরে থাকা ছোট দলগুলোও রমজান মাসজুড়ে ইফতার মাহফিল আর সাংগঠনিক কার্যক্রম গোছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে সব দলগুলোই বলছে রমযানের পর নির্বাচনী রাজনীতিতে আসতে পারে নতুন মোড়।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি। এদের চেতনায় পাকিস্তান। এদের প্রতিহত, প্রতিরোধ ও পরাজিত করতে হবে। তারা এই দিবসে কোনো কর্মসূচি দেয়নি। বিএনপি ২৫ ও ২৬ মার্চ চেতনায় ধারণ করে না। গণহত্যা দিবসে তারা চুপচাপ বসে আছে। আসলে এই দিবসটির প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা নেই।