রেকর্ডবুক চুরমার দক্ষিণ আফ্রিকার অবিশ্বাস্য জয়ে
স্পোর্টস; ২০ ওভারে ২৫৮ রান! টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সংগ্রহের পর যে কেউই বাজি ধরবে ক্যারিবীয়দের পক্ষে। যারা ধরেছেন তারাই এখন হারের কাতারে। কেননা, বিশাল এই লক্ষ্যই টপকে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সর্বশেষ খবর পেতে ঢাকা প্রকাশের গুগল নিউজ চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ।
রবিবার (২৬ মার্চ) সেঞ্চুরিয়নে দুই দলের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জনসন চার্লসের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে রানপাহাড়ে চড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকা তার চেয়েও উঁচুতে উঠে কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরিতে ভর করে। জয়ের লক্ষ্যে বাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকরা ৬ উইকেট এবং ৭ বল হাতে রেখেই নোঙর করে জয়ের বন্দরে।
অবিশ্বাস্য জয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় সবচেয়ে বড় এটাই। আগের রেকর্ডটি ছিল বুলগেরিয়ার দখলে। গত বছর সার্বিয়ার বিপক্ষে ২৪২ রান তাড়ায় ২৪৬ রান করেছিল তারা। আরও বড় জয়ে তাদের পেছনে ফেলল প্রোটিয়ারা।
হাই-স্কোরিং ম্যাচটিতে হয়েছে ৫১৭ রান। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে কোনো ম্যাচে এটাই সবচেয়ে বেশি রান হওয়ার রেকর্ড। চলতি মাসেই এই তালিকায় নাড়া পড়েছিল। ১১ মার্চ পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও মুলতান সুলতানসের ম্যাচে হয়েছিল ৫১৫ রান। কিন্তু মাস না পেরুতেই সেঞ্চুরিয়নে হলো নতুন রেকর্ড।
রেকর্ড গড়া ম্যাচে দুর্ভাগ্য চার্লসের। মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলে টি- টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক বনে যান চার্লস এবং সবমিলে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দ্রুততম সেঞ্চুরি। এদিন ৪৬ বলে ১০ চার এবং ১১ ছক্কায় ১১৮ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটার।
চার্লসের বিধ্বংসী ইনিংসে রেকর্ড সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ উইকেটে ২৫৮ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস, যা টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের দলীয় সর্বোচ্চ। তারপরও শেষরক্ষা হলো না তাদের। ডি ককের অতিদানবীয় ইনিংসে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতায় ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
রান তাড়ায় স্বাগতিকদের জয়ের পথ প্রশ্বস্ত হয়ে ডি কক ও রেজা হেনড্রিকসের উদ্বোধনী জুটিতে। মাত্র ১০.৫ ওভারে দলের খাতায় ১৫২ রান যোগ করেন দুজনে। ৪৩ বলে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ডি কক। তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছেই আউট হন তিনি। তার ৪৪ বলে ১০০ রানের ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৮ ছক্কার মার।
উইকেটের অপরপ্রান্তে গর্জে উঠা রেজা সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৬৮ রানে। তার ২৮ বলের ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ২ ছক্কা। দুই ওপেনারের পর অল্পতেই আউট হন রিলে রুশো (১৬) এবং ডেভিড মিলার (১০)। এরপর দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম (৩৮) এবং হেইরিখ ক্লাসেন (১৬)।