খালেদাকে বিদেশের যেতে অনুমতি না দেয়ায় নানা শঙ্কা দানা বাঁধছে
ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাসীনরা তিলে তিলে শেষ করছেন বলে দাবি দলটির নেতাদের।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। এমন মন্তব্য করে দলটির নেতারা বলছেন, সেই অনুমতি না দিয়ে ক্ষমতাসীনরা তাদের পতনকেই অনিবার্য করছে। তবে, খালেদা জিয়ার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনলে সরকার ইতিবাচক হবে সম্প্রতি এমন কথাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। যার পাল্টা জবাবও দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নিশ্চয় সরকারের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য আছে সরকারের। বিদেশ গেলে সেটা প্রমাণিত হতে পারে সেজন্য সরকার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধা দিচ্ছে। বিএনপির এ নেতার দাবি-খালেদা জিয়ার পুরানো যে শারীরিক সমস্যা ছিল সেগুলোর কোনও সমস্যা কেন হলনা, কেন লিভারের সমস্যা হল? খালেদা জিয়ার যখন জেলে যান তখন তার লিভারে কোনও সমস্যা ছিল না তাহলে এ সমস্যা হঠাৎ কেন তৈরি হল-সে প্রশ্ন রাখেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তবে, এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারকে একদিন দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
দলটির সংসদ সদস্যদের অভিযোগ, উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে চেয়ারপার্সনকে তিলে তিলে শেষ করছে ক্ষমতাসীনরা।
বিএনপির সংসদ সদস্য ও হুইপ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, খালেদা জিয়াকে জেনে বুঝে যেভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে সেটা মর্মান্তিক ও পৈশাচিক। সরকারের এ পৈশাচিক আচরণ শুধু বিএনপি নেতা-কর্মীদের ক্ষুব্ধ করেনি পুরো দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন তিন বছর সরকারের হেফাজতে ছিলেন তার যেকোনো পরিণতির জন্য সরকার দায়ী বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ বলেন, সময়ের অপচয় না করে মানবিক কারণ বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতির দাবি জানান। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়াকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান, আপনারাও বাঁচুন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি না দেয়ায় নানা শঙ্কা দানা বাধছে বলে জানান বিএনপির আরেক নীতি নির্ধারক সেলিমা রহমান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সেলিমা রহমান বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা না দেয়ায় আমাদের মনে অনেক সন্দেহের সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। এছাড়া তাকে একা একা কারাবাসে রাখাই প্রমাণ করে এটা সরকারের পূর্ব পরিকল্পনা।