টেকসই উত্তরণ ত্বরান্বিত করতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে
ঢাকা: জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, টেকসই উত্তরণ ত্বরান্বিত করতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি)’র টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে এ উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণ ও কাঠামোগত রূপান্তর তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি এবং জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ আয়োজিত যৌথসভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি কোভিড-১৯ ক্ষতি থেকে উত্তরণে বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব এবং উৎপাদন সক্ষমতা বিনির্মাণে পর্যাপ্ত সম্পদ সরবরাহের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবধান পুনরায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেখানে উন্নত দেশগুলো প্রায় শতভাগ ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করার কাছাকাছি, সেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এই হার শতকরা ২ ভাগেরও কম। এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ভ্যাকসিন প্রযুক্তি হস্তান্তরই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। বাণিজ্য ব্যবস্থা ও উৎপাদন সক্ষমতাসমূহের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্কের প্রতি আলোকপাত করে বিশ্ব বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজারে দেশগুলোর পূর্ণ প্রবেশাধিকারের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা
রাবাব ফাতিমা বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোকে যাতে পুনরায় এলডিসি ক্যাটাগরিতে ফিরে যেতে না হয়, তা প্রতিরোধে ওই সব দেশে যে বিশেষায়িত ও আলাদা বাণিজ্য সুবিধাসমূহ প্রদান করা হচ্ছে তার মেয়াদ আরো কমপক্ষে ১২ বছর বৃদ্ধি করা উচিত।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে বর্তমানে এলডিসি-৫-এর প্রস্তুতিমূলক কমিটির কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন।