বিবাহিতা নারীদের সঙ্গে প্রেমের তার্গেট, এরপর সর্বোচ্চ লুটেপুটে উধাও হয় প্রতারক তুষার ওরপে সাগর!

সময়: 6:39 pm - October 13, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 83 বার
বিবাহিতা নারীদের সঙ্গে প্রেমের তার্গেট, এরপর সর্বোচ্চ লুটেপুটে উধাও হয় প্রতারক তুষার ওরপে সাগর!

মিরপুর থেকে রবিন: আমি একজন নারী! সমাজের মানুষ আমাকে ভিন্ন ভাবে দেখছে কারণ আমার নামে বেনামে ফেসবুক আইডি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজে ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এদিকে ইউটিউবে আমার আজে বাজে ভিডিও আপলোড করা হয়েছে যার কারণে আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে বিভিন্ন মহুলের বাজে মন্তব্যের শিকার হতে হচ্ছে। আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার স্বামী যেতৈুকের টাকা না পেয়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নিজ সন্তানকে অস্বিকার করে মৌখিক ভাবে ডির্ভোস দিয়ে গোপনে স্বামী-স্ব্রীর অন্তরঙ্গ ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যে প্রকাশ করছে। সে যানে আমার কোন আপন কেউ নেই এ সুযোগে আমার অসহায়কে পুজি করে হেয় প্রতিপন্ন করছে।

আমার অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশের পর আমি খুব লজ্জা বোধ করছি। নিজের স্বামী কখন ও এমন হয়? আমি তো কারোর না কারোর মেয়ে। এই মুহুত্বে আমি খুব অসহায়। একটি মেয়ে হয়ে এসব আর নিতে পারছি না। আমার ছোট ছোট সন্তানের দিকে তাকিয়ে এখন ও বেচেঁ আছি। প্রশাসনের ও সুশীল সমাজের কাছে আমি সহযোগিতা চাই এমন ভাবে আকুতি মিনতি জানান বিনা আহমেদ নামের এক যুবতি নারী।তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। নরসিংদীতে থাকায় সে ঘোঁড়াশাল পৌরসভা এলাকার ভোটার হন ।

জানা যায়, বিনা নিজ ইচ্ছায় এইচএসসি পর্যন্ত লিখা পড়া করেছেন। ভালো অবিভাবক না থাকায় সামাজিক পরিবেশ বুঝে উঠার আগেই ছাত্রী অবস্থায় তার প্রথম বিবাহ হয়। পরে অনাখাঙ্কিত ভাবে আরেকটা বিয়ে হয়। এরপর  বরিউল আউয়াল তুষার ওরফে সাগর নামের এক যুবক তাকে দেখে পছন্দ করে এবং সব জেনে শুনে তারা পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন করে। যদি ও তার এই বিবাহকে অস্বীকার করছে তার স্বামী। তুষারের সঙ্গে বিবাহের আগে বিনার আরো ২টা বিয়ে হয়।

জানা যায়, বিবাহিতা নারীদের অসহায়ের সুযোগ নিয়ে প্রথমে প্রেমের তার্গেট, এরপর সর্বোচ্চ লুটেপুটে উধাও! পরে তাদের বিভিন্ন মহলে প্রশ্নবিত্ত করে হাওয়া হয়ে যায় প্রতারক তুষার ওরপে সাগর!

বিনার আহমেদের দেওয়া তথ্য মতে, তুষার সব কিছু জেনে শুনে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক অনুযায়ী পারিবারিক ভাবে তাকে বিয়ে করেন। খুব ছোট বয়সে তার বাবা-মা মারা যান। এরপর সে এতিম হয়ে যায়। জন্মগত ভাবে হিন্দু হওয়ায় এই মেয়েটি মুসলিম পরিবারে বড় হয়।বিবাহের আগে এবং পরে বিনা একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। তার স্বামী রবিউল আউয়াল তুষার তখন ও কিছুই করতেন না। আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিনাকে (শান্তনা মূলক ভাবে) চেকে এবং নগদে দেন মহরের টাকা পরিশোধ করেন প্রাক্তন স্বামী। বিনা দেখতে সুন্দরী হওয়ায় তুষার তার প্রেমে পড়ে যান। পিছনের সব কিছু ভুলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বেশ কিছুদিন এই দুই দম্পতি স্বাভাবিক ভাবে ঘর-সংসার করতে থাকেন। নিজেদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক কলাহল এরপর নেমে আসে আধারের অশান্তি।

জানা য়ায়, বিনার প্রাক্তন স্বমীর দেন মহর এবং চাকুরীর গচ্ছিত কয়েক লক্ষ টাকা ব্যাংকে ছিলো। মূলত এ টাকা দেখে বিনাকে বিয়ে করে মিরপুরের বরিউল আউয়াল তুষার। এক পর্যায়ে বিনার সব টাকা নিজ প্রয়োজনে ধীরে ধীরে খরচ করতে থাকেন তুষার। শুরু করেন নতুন প্রতারণা  বিনার চেকের স্বক্ষর হুবহু নকল করে ব্যাংক থেকে সব টাকা গায়েব করে দেন প্রতারক (স্বামী) তুষার। এরপর পারিবারিক কলাহলের মধ্যে পড়ে বিনা-তুষারের সাংসারিক জীবন।

পারিবারিক কলাহলে জের ধরে তুষার বিনার উপর বিক্ষুদ্ধ হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করে এবং একটি গোপন ভিডিও ধারণ করে। তিন মাস আগে ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিনাকে পতিতার মতো সাজিয়ে ”লাল ভাবি” নামে চিহ্নিত করে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তুষার। এ ঘটনা পর দু-জনের মধ্যে আইনত জটিলতা তৈরি হয়। এসব নানান বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বিনা আহমেদ গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন।

এ সময় বিনা আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, সে আমার সব সম্পদ লুটে পুটে খেয়ে আমাকে শূন্য করে ফেলে। হঠৎ তুষারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। আমি একদিন ওর মোবাইলে চেক করি এবং অন্য মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অনেক কিছু দেখতে পায়। তার পরকীয়ার এ বিষয়টি ধরে ফেলায় তুষার ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে এবং আমাকে মারধর করে। পরে আমরা মিলমিশ হয়ে যায়। একদিন আমার অজান্তে সে আমাদের স্বামী স্ত্রীর মেলামেশার একটি ভিডিও গোপনে ধারণ করে রাখে। মূলত গোপন ভিডিও ধারণ করে সে আমাকে ব্লক মেইল করতে চাই। সে বিভিন্ন নেশায় লিপ্ত ছিলো যে, কারণে আমাকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে চেয়েছিলো, আমি রাজি না থাকায় সে আমার প্রতি নারাজ থাকে। সে কোন কাজ করতো না, সংসারটা আমার শ্রমের টাকায় চলত। এরমধ্যে আমাকে তুষার ওরফে সাগর বাচ্চা নেতে বাধ্য করে। আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ্য থাকি। এরমধ্যে  আমার স্বাক্ষর হুবহু নকল করে ব্যাংক থেকে এবং ঘর থেকে সব টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে কিছুদিন হারিয়ে যায়। সিজারে আমার বাচ্চার জন্ম হওয়ার পর সে, আমাকে এবং আমার পুত্র সন্তানকে মোহাম্মদপুর মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালে রেখে চলে যায় এবং  আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করে না। এসময়টাতে আমি নানান সংকটে পড়ি।

“সর্বোচ্চ লুটেপুটে নিজ সন্তানও স্ত্রীকে অস্বীকার করে প্রতারক “বরিউল আউয়াল তুষার ওরফে সাগর” পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে, সে এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তুষার -ওরফে সাগরের ঘরের বাচ্চা জন্মের আগে, সে আমার কাছে যৌতুক বাবদ ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছে এমন অভিযোগ করে বিনা আহমেদ বলেন, আমি টাকা দিতে না পরায় আমার গোপন ভিডিও ইউটিউবে ছেড়ে দেওয়া ভয় দেখায়। আমি পেগনেন্ট অবস্থায় তাকে সামান্য কিছু টাকা দি, সে তাতেও খুশি হয়না। মনে মনে পরিকল্পনা করে বাচ্চা হবার সময় সে আমাকে রেখে পালিয়ে যায় এবং আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করতে থাকে, এসবের কিছুই আমি জানি না।। আমার সিজার হয় এসময় প্রতিটা নারীর পাশে তার স্বামী থাকে, কিন্তু সে আমাকে দেখতে তো দূরের কথা  বাচ্চাটাকে ও দেখতে আসে নাই। বরং সে তার সন্তানকে অস্বীকার করতে শুরু করে। আমার বাচ্চাটাকে দেখতে তার পরিবারের কেউ ও আসেনি।

বিনা আরো বলেন, এভাবে টানাহেঁচড়ার মধ্যে পড়তে থাকে আমাদের সংসার। আমি সুস্থ্য হবার বেশ কিছুদিন পর জানতে পারি তুষার অন্য কোন মেয়েকে নিয়ে ঘরসংসার করতে চাই। তখন আমার অধিকার এবং আমার সন্তানের অধিকার রক্ষার জন্য আমার শশুর বাড়িতে যায়। তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে এবং আজে বাজে কথা বলে। তিনি বলেন, অনেক ছেলে মেয়ের ২-৩ টা বিবাহ হয়ে থাকে আমার কপালে হয়তো সেটাই লিখা ছিলো এতে আমার কি দোষ? সে তো জেনে শুনে আমাকে বিবাহ করছে।

বিনা আহমেদ বলেন, আমি তাদের বাসায় যাওয়ায় তুষার আমার উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে ব্লক মেইল করতে চাই। স্বামী স্ত্রীর সেই অন্তরঙ্গ গোপন ভিডিওটি টিকটক, ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। পরবর্তীতে ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটি প্রকাশের পর মানুষ আমার পরিচয় জেনে যায়। ভিডিওতে সে লিখে দেয় ”লাল ভাবি’র সাত মিনিটের অন্তরঙ্গ গোপন  ভিডিও ভাইরাল দেখুন ! রাতারাতি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পতিতাদের মতো একজন বাজে জঘন্য মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে যায়।

বিনার অভিযোগ, স্বামীকে বিশ্বাস করা কি অপরাধ? তার সঙ্গে মেলামেশা করা কি আইনত অপরাধ? হয়তো সে আমার সঙ্গে না থাকতো, কেন আমাকে নিয়ে এমন করলো। আমি তো একটা মেয়ে এ ঘটনার পর সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি কোন ভাবে বেচেঁ আছি। শুধু ভিডিও প্রকাশের পর ও তুষার শান্ত হয়নি। একদিন আমাকে অজ্ঞান করে বিছানার কাছে অস্ত্র রেখে ঘুমান্ত অবস্থায় আমার ছবি তুলে ভয় দেখায়।

বিনয়ের সুরে তিনি বলেন, জন্মের কিছু দিন পর বাবা-মাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ি। হিন্দু পরিবারের সন্তান হওয়ার সর্থেও কপাল দুঃখে মুসলিম পরিবারে বড় হতে হয়। এরপর ইসলামিক ভাবে জীবন যাপন করি। পৃথীবিতে আপন বলতে কেউ নেই বারবার নিজের পায়ে দাড়াঁতে চেয়েছি অনেক সংগ্রাম করছি কিন্তু বিধাতা হয়তো চাইছেন না। এজন্য বারবার কপালে দুঃখ নেমে আসছে।তিনি বলেন, আমার প্রাত্তন স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর একটি বাচ্চা হয়। এরপর ভেবে ছিলাম আর বিয়ে করবো না, বাচ্চাও নিবো না। কিন্তু তুষার আমাকে বাচ্চা নিতে বাধ্য করে এবং বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার পর সে নিজের তাকে অস্বীকার করে।

সিজারের স্ত্রী ও পুত্র সন্তান হাসপাতালে রেখে তাদের অস্বীকারে করে, বাসার জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়, এরপর নতুন নতুন প্রেমিকার সঙ্গে আপত্তির ভাবে সময় কাটান প্রতারক বরিউল আউয়াল তুষার ওরফে সাগর। তার এমন অপরাধের শিকার হয়েছেন অনেকে কেউ কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। কারণ সে প্রেমের ফাঁদে নারী ও মেয়েদের অপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্লাক মেইল করতে থাকে। এ কারণে তার  দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েরা গোপনে চুপ করে রয়েছেন।

ভুক্তভোগী এ নারী বলেন, আমার জন্ম হিন্দু পরিবারে হওয়ায় প্রথম বিয়ে এক হিন্দু ব্যক্তির সঙ্গে হয়। আগের স্বামী বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যায়। মুসলিম পরিবারে মানুষ হওয়াকে কেন্দ্র করে আমার প্রথম স্বামী ও ভারতের স্থানীয় লোক আমার সঙ্গে খারাপ আচারণ করতো। বাধ্য হয়ে ডির্ভোস নিয়ে সেখান থেকে দেশে চলে আসি। এরপর আমি পুরোপরি মুসলিম ধর্ম পালন করি। কারণ আমি তো জন্ম থেকে হিন্দু এবং মুসলিম!

বরিউল আউয়াল তুষার ওরফে সাগর কি করেন? তার বিষয়ে জানতে চাইলে বিনা বলেন, তুষার তেমন কিছুই করে না। আমার কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করলেও পরে ওর মুখোশ খুলে যায়। তুষারে মূল কর্ম হলো মাদক, এবং বিআরটিএর কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নকল করা। তাছাড়া কেউ কোন স্বাক্ষর নকল করতে চাইলে তার কাছে যায়।এভাবে সারাদিন অবৈধ্য ভাবে কিছু টাকা আয় রোজগার করতো এবং তা মাদকসেবন ও নষ্ট মেয়েদের পিছনে ব্যায় করতো। অসহায় হওয়ায় আমি তার অনেক কিছু সহ্য করছি। বিনা বলেন, আমি যখন জানতে পারলাম, তুষার এসব কাজ করে তখন তাকে আমি বলছি সৎ ভাবে কর্ম করো। সে আমার কোন কথায় শোনেনি। এসব আজে-বাজে কাজ করার জন্য তাকে অনেকবা্র থানা পুলিশের ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। স্ত্রী হিসেবে  চেয়েছিলাম ও ভালো পথে চলুক, ভালো থাকুক, কিন্তু অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে ও মাথায় মনে হয় একটু কম কাজ করছে । যে কারণে আজ ও গোপনে নিজের স্ত্রীর মেলা-মেশার ভিডিও ইউটিউবে ছেড়েছে।

বিনা বলেন, শুধু ভিডিও নয়, তুষার আমার ভোটার কার্ড নিয়ে তা এডিট করে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটা ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট তৈরি বিভিন্ন মহলে ছড়াচ্ছে। আমার একটি ভোটার কার্ড ও একটি মাত্র পাসপোর্ট। প্রথম বিবাহের পর আমার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ভারতে চলে যেতে হয় এবং সেখানে বেশ কিছু দিন থাকতে হয়েছে। তুষার পিছনের এসব ঘটনার সুযোগ নিয়ে আমাকে এদেশের মানুষের কাছে বাজে ভাবে উপস্থাপনা করছে। ক্ষতি করার জন্য তুষার ওরফে সাগর অনলাইন দেখে আমার স্বাক্ষর হুবহু নকল করে সে ভারতের নাগরিক এর আধার কার্ড ও তৈরি করে রেখেছে। কারণ আমি যাতে এদেশের আইনি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হয়।

নিজেকে অসহায়ের পরিচয় দিয়ে এ নারী বলেন, আমি অসহায় আমার পাশে দাড়ানো মতো আপনজন কেউ নাই। এজন্য জেনে শুনে তুষার এবং তার পরিবার আমার সঙ্গে এমনটা করেছে। আমি এতিম (অনাথ) হওয়ায় সমাজে আমাকে নানান কথা শুনতে হয়।

তিনি বলেন, আমি শুনতে পেরেছি  আমার স্বামী তুষারের পরিবার মিডিয়ার (রেডিও বেতার) লোক হওয়ায় সস্প্রতি একটি জাতীয় প্রত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাতে ও আমি কষ্ট পায়নি। আমার কষ্ট হলো আমার কাছে ঐই সাংবাদিক ভাইদের সত্য ঘটনা জানার দরকার ছিলো। আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় এ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের পরে আমি আমার সর্বচ্চ সম্মানটুকু ও হারিয়েছি। এর দায়ভার কে নিয়ে? আমি খোজ নিয়ে জানতে পারি, আমার স্বামী তুষার ওরফে সাগর এবং ওঐ সাংবাদিক ভাইকে নকল তৈরি (এডিট) করা কাগজ পত্র দিয়েছে। সেটা দিয়ে তিনি নিউজ করেছেন। এবং ঐই সাংবাদিক  তুষারের বড় ভাই এবং দুলাভাইয়ের পর্বের পরিচিত হওয়ায় তাকে ম্যানেজ করে অন্যায় ভাবে আমার বিরুদ্ধে একটি ভিত্তহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সংবাদ প্রকাশের  ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিবাহিতা নারীদের সঙ্গে প্রেমের তার্গেট, এরপর সর্বোচ্চ লুটেপুটে উধাও হয় প্রতারক তুষার ওরপে সাগর!

তিনি বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার মানবিক ভাবে হলেও সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। এবং ”লাল ভাবি” নামে আমার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি  ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ডিলিট করে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। আমি মেয়ে মানুষ কারো না কারো সন্তান অথবা বোন প্লিজ আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন।এই মুহুত্বে আপনি কি চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার স্বামী অভিযোগ করছেন আমি প্রতারক। আমার কি আছে? কি প্রতারণা করেছি তার সঙ্গে ? বরং সে আমার সঙ্গে প্রতারনা করে উল্টা আমাকে প্রতারক বলছে। নিজেই তো ঠিক মতো চলতে পারিনা। প্রতারণা করলে কি সন্তানের দুধ কিনতে মানুষের কাছে ভিক্ষা করতে হয়। কেন তুষার আমার আজে বাজে ভিডিও ভাইরাল করলো? এর সুষ্ঠ বিচারের জন্য বিনীত ভাবে সুশীল সমাজ ও প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আপনার স্বামী বরিউল আউয়াল তুষার-ওরফে সাগরের বিষয়ে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে প্রতারণা করা, বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে নিযার্তন করা, হেনস্থা করা, আমার টাকা পয়সা নষ্ট করা, সন্তানকে অস্বীকার করা, এসবের যাবতীয় বিষয়ে আমি আইনের সহযোগিতা নিচ্ছি। এবং এসব কিছু তদন্তের মধ্যে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ”লাল ভাবি” ভাইরাল হওয়ার গোপন ভিডিও এবং আমার নামে ’বে’ নামে ও খারাপ ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভুয়া ফেসবুক তৈরি করে যেসব বিষয়ে অপপ্রচারের চালানো হয়েছে সেসব বিষয়ে পুলিশের কাছে একটা অভিযোগ দায়ের করেছি। এবং এ বিষয়টি পুলিশের বিশেষ ইউনিট পিবিআই  তদন্ত করছেন। তাছাড়া সাইবার ক্রাইম শাখার যোগাযোগ করার পর তিনারা আমা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান ।

বিনা আহমেদ সবাইকে অনুরোধ করে বলেন, সর্বশেষ আমি বলতে চাই এই পৃথীবিতে আমার আপন বলতে কেউ নেই। আমার সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় চাই। আমার মতো এমন পরিস্থিতির মধ্যে যেন আমার সন্তানের না পড়তে হয়। আমি চাই আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসুক। আমি তার সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিউল আউয়াল তুষার ওরফে সাগর বলেন, ঘটনা কিছু সত্য আবার কিছু মিথ্যা। আপনি নিউজ করার আগে আসুন এক জায়গায় বসে কথা বলি। বিনা আহমেদ কি আপনি স্ত্রী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে ছিলো এখন নাই। আপনি কি তাকে আইনি প্রক্রিয়ায় কোন ডুকুমেন্ট অনুযায়ী ডির্ভোস দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এমনিই ডির্ভোস দিয়েছি। বিনার দাবি তার কাছে যে, সন্তান রয়েছে তার জন্মদাতা পিতা আপনি? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিউল আউয়াল তুষার বলেন, এসব বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাই।

আপনার স্ত্রী বিনার অভিযোগ তার ব্যাংকের চেকে আপনি নকল স্বাক্ষর করে ব্যাংক টাকা তুলে নিতেন, বিনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ঠকিয়েছেন, তাকে আজীবন জিম্মি করার জন্য প্রথমে তার ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকী দেন এবং পরে তা ভাইরাল করে দেন কিন্তু কেন? অনুমতি ছাড়া আরেকজনের ভিডিও ভাইরাল করলেন? বিনার দাবি আপনি বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার জড়িত, তাকে মারধর করতের ও যৌতুকের দাবি করেছেন, তাছাড়া তার অনেক সম্পদ নষ্ট করেছেন সে আপনার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনার শিকার হয়েছেন এ বিষয়ে কিছু জানতে, এসব বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে তুষার ওরফে সাগর বলেন এসব বিষয়ে নিয়ে আসুন আমরা সরাসরি কথা বলি। তাহলে আপনি ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

ভোরের পাতা/ভিআরথী

এই বিভাগের আরও খবর