বরিশালে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেড়েছে ইলিশের দাম
ঢাকা: পূর্ণিমার কারণে দক্ষিণ উপকূলে কয়েকদিন ধরে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও পাইকারি ও খুচরা বাজারের দাম কমেনি। বরং কিছু পাইকারি বাজারে মণ প্রতি দাম ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এতে জেলে-ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও সাধারণ ক্রেতারা বলছেন তাদের নাগালের বাইরে ইলিশের দাম।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে নতুন করে ২ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এদিকে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেয়া হয়েছে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। বরিশালের মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ ভালো থাকলেও রপ্তানির খবরে দাম এখনও চড়া। শহরের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ৮শ’ মণের মতো ইলিশ আসছে। সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা এবং এর বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ হাজার টাকায়।
বরিশাল পোর্ট রোডের মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল বলেন, ‘আমাদের সরকার ভারতে প্রায় ২ হাজার ৮০ টন ইলিশ রপ্তানি করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে আমরা সবাই অনেক খুশি।’
ইলিশের দাম বেশি পাওয়ায় জেলে, ট্রলার মালিক ও আড়তদারসহ খুশি মৎস্যজীবীরাও। তবে, ইলিশের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। ক্রেতারা জানান, ভারতে রপ্তানি হওয়ার কারণে তাদের বাজারগুলোতে ইলিশের দাম অনেক বেড়েছে। তাই অনেকেই এই অবস্থার জন্য ক্ষুব্ধ।
এদিকে আগামী ৪ঠা অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। ২৬শে অক্টোবর থেকে আবার ইলিশ ধরা যাবে। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘এই সময়ে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
গত বছর ১৪ই অক্টোবর থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার তা ১০ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।