বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে চায় রাশিয়া
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে চায় রাশিয়া। বুধবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে। সেটার পরিমাণও অনেক বেশি, দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য রাশিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) আমাদের একটা সাজেশন দিয়েছেন, তিনি মনে করেন রাশিয়ায় আম রপ্তানির একটা বিরাট সুযোগ আছে। তিনি নতুন এসেছেন, এই কদিনে যে আম খেয়েছেন তা খুবই সুস্বাদু। রাশিয়ায় এটার বিরাট মার্কেট। বাংলাদেশ এটায় গুরুত্ব দিতে পারে, এটা নিয়ে কাজ করা উচিত।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে আমরা তেমন গম উৎপাদন করি না। আমাদের আবহাওয়া গম উৎপাদনের জন্য ভালো না। কিন্তু এখন আমাদের জেনারেশনের ছেলে-মেয়েরা গমের অনেক খাবার খায়। এজন্য আমরা রাশিয়া থেকে গম আমদানি করি।
রাশিয়া থেকে সারও আমদানি করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একটি নতুন সার ডিএপিপি, এটা বাংলাদেশে ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এটা আনার জন্য আলাপ করেছি। রাশিয়ার সঙ্গে একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, সরকার-টু-সরকার। আমরা ভালো দামে রাশিয়া থেকে ডিএপিপি আনতে পারি কি না। আগে আমরা ৭ লাখ টন ডিএপিপি ব্যবহার করতাম সেটার চাহিদা এখন বেড়ে ১৪ লাখ টন হয়েছে। কাজেই এখানে আমাদের রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগে আমরা ওখানে আলু রপ্তানি করতাম। একটা ব্যাকটেরিয়ার কারণে রাশিয়া সেখানে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে। আমরা ওনাকে অনুরোধ করেছি, আমরা যাতে রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করতে পারি। তিনি বলছেন, তারা গুরুত্ব দিয়ে এটা দেখবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রূপপুর প্রকল্প তারা করছে। তারা মনে করে এই প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাবে পড়বে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়বে।
‘রোহিঙ্গা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। তারা চায় এই সমস্যার সমাধান হোক। এই ব্যাপারেও তারা সহযোগিতা করবে।’
চাল আমদানি করলে কৃষকদের ধানের দাম কম পাওয়ার শঙ্কা আছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, না, না, কৃষক অনেক বেশি দাম পেয়েছে, দাম পাচ্ছে। দাম একটা বেশি পাচ্ছে এই মুহূর্তে। এত দাম না পেলেও তারা খুশি থাকত। চালের দাম বরং বেশি আছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ায় আম খুব জনপ্রিয়। রাশিয়ায় আম রপ্তানির জন্য আমি মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কারণ বাংলাদেশের আম অনেক জনপ্রিয় ও সুস্বাদু।