দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়াল
ঢাকা: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩ হাজার ৯৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ৯০ হাজার ৬১৯ জন।
এই সময়ে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১ হাজার ২০৯ জন কোভিড রোগী মারা গেলেন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৯৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৯০ হাজার ৬১৯ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও নারী ৬ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ১৭১ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ২৭ জন। গতদিনের তুলনায় আজকের সুস্থতার হার অনেক বেশি। সে হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩০৩ জন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আজকে যারা সুস্থ হয়েছেন তারা শুধু হাসপাতালেই নয়, বাসায় এবং যারা উপসর্গবিহীন ছিলেন তারা সবাই এই সংখ্যার মধ্যে যোগ হয়েছেন। এই তথ্য আমাদের আইইডিসিআর দিয়েছে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, বয়স বিশ্লেষণে ২১-৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১৫ জন এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন।
তিনি আরো জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ১২ জন, সিলেটে ৬ জন, বরিশালে একজন ও রংপুরে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ২৫ ও বাড়িতে ১১ জন মারা গেছেন। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন ২ জন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।