আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন বিশ্বস্ত অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

সময়: 5:24 pm - July 1, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 29 বার
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন বিশ্বস্ত অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: চীনকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিতে আরো উপায় খোঁজার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেলে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নিতে এবং শান্তি-নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে আরো বেশি উপায় বের করতে চাই।

আগামী দিনগুলোতে দুদেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারি মূল্যবোধ এবং মূল জাতীয় উদ্দেশ্যগুলোতে অভিন্নতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ এবং চীন দুর্দান্ত সম্পর্ক উপভোগ করছে। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনকে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।

কভিড-১৯ মহামারির সময় সাম্প্রতিক ভ্যাকসিন উপহারসহ চীনের সহায়তা এবং চায়না কমিউনিস্ট পার্টি কর্তৃক আওয়ামী লীগকে চিকিৎসা সরঞ্জাম উপহারের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যকার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে যেসব সিপিসি নেতারা অবদান রেখেছেন তাদের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সহস্রাব্দের বেশি আগে থেকে দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ সিল্প রুট দুই প্রাচীন জনপদের মধ্যে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্য প্রবাহের সুযোগ সম্পর্ককে বেগবান করেছে।

১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে একজন তরুণ রাজনীতিক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক চীন সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু তার লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ে সে সময় সিপিসির নেতৃত্বে উন্নত দেশ গঠনে চীনাদের উৎসাহ, প্রতিশ্রুতি ও গভীর বিশ্বাসের কথা লিপিবদ্ধ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সুবিজ্ঞ নীতি এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে তার দেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। উচ্চমানের শিক্ষার মাধ্যমে মাত্র কয়েক দশকে চীন মহাকাশ থেকে ন্যানো প্রযুক্তি, রোবটিক্স থেকে অ্যাভিওনিক্স চীন বিস্ময়কর এবং অনুপ্রেরণামূলক অগ্রগতি লাভ করেছে। চীন বিশ্ব মানের পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদান করছে। চীনের এই উন্নয়নের সুফল প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছেও পৌঁছেছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, একইভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মুক্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার পথে এগিয়ে চলছে। আমরা আশা করছি ২০৪১ সালের মধ্যে সকল নাগরিকের জীবনে সমৃদ্ধি নিয়ে আসবো। আমি বিশ্বাস করি দুটি দলের (সিপিসি এবং আওয়ামী লীগ) বড় ধরনের সহযোগিতা আমাদের নাগকিদের জন্য আরো উন্নতি নিয়ে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর