যেভাবে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন নির্ধারিত হবে
ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা প্রতিরোধে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা দেশ তিনটি জোনের (লাল, হলুদ, সবুজ) আওতায় নিয়ে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চূড়ান্ত করেছে সরকার।
ইতোমধ্যে রাজধানীর ৪৫টি এলাকা রেড জোন হিসেবে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। লকাডাউন কার্যকরে ইতোমধ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই গাইডলাইনে লাল, ইয়েলো এবং সবুজ এলাকা নির্ধারণের নীতিমালার কথা বলা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জুন) এই গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইনে বলা হয়, তিন পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা যাবে।
১) প্রাথমিক নির্দেশক হিসেবে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে কতজন করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্নিত হয়েছে।
২) দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক নির্দেশক হচ্ছে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কেসের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার, রোগের লক্ষণ ভিত্তিক নজরদারি, অভ্যন্তরীণ অধিক সঞ্চরণশীলতা, অধিক দারিদ্র, খাবারের অপ্রতুলতা, নমুনা পজিটিভের হার (মোট পরীক্ষিত নমুনার মধ্যে কত শতাংশ পজিটিভ), পরীক্ষিত নমুনার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব (স্যাম্পল সংগ্রহের পর কতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া এবং শনাক্ত করা হচ্ছে এবং পরীক্ষার পর্যাপ্ততা।
৩) এছাড়া কোন অঞ্চলসমূহ অঞ্চলায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে সেই বিষয়ে গাইডলাইনে বলা হয়- বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, মহানগরী, ওয়ার্ড, মহল্লা সকল কিছু এই অঞ্চলায়নের অন্তর্ভূক্ত হবে। এই অঞ্চলায়নের সময় মহানগরীগুলোর ক্ষেত্রে, ই পি আই এলাকা বা অন্য কোন সহজ পদ্ধতি [আকৃতিগত, প্রকৃতিগত অথবা সুবিধামত সীমানা] ব্যবহার করা হবে যাতে করে অঞ্চলগুলোকে সুনির্দিষ্ট করা যায়।
যেভাবে রেড জোন নির্ধারণ করা হবে
শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৬০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে সেই এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ১০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা রেড জোন হিসেবে গণ্য হবে।
যেভাবে ইয়েলো জোন নির্ধারণ করা হবে
ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৩-৫৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৩-৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে গণ্য হবে।
যেভাবে গ্রিন জোন নির্ধারণ করা হবে
স্বাস্থ্য অধিদফতর রেড এবং ইয়েলো জোনের বাইরে দেশের বাকি ভৌগলিক অংশকে গ্রিন বা সবুজ জোন বলছে। এখানে ২ ধরণের এলাকা আছে। যে সকল এলাকায় জোনিং এর শুরু থেকে কোন কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং যে সব এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩ জনের কম সংখ্যক ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।