পাইলস মোকাবিলায় করলার জুড়ি নেই
স্বাস্থ্য ডেস্ক: সারা বছরই বাজারে তেতো স্বাদের সবজি করলা পাওয়া যায়। ভার্জি,ভর্তা, করলার ঝোল খাওয়া যায়। তেতোর কারণে অনেকে আবার করলার কদর বুঝে না। তবে স্বাদের চেয়ে করলার ওষুধিগুণ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। করলায় ডায়বেটিকস, পেটের গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, জন্ডিসের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
তেতো করলার মিষ্টি গুণে একাধিক রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি বাড়ে নিমেষেই। করলা দিয়ে একাধিক রান্নাবান্না ঘরে ঘরে প্রচলিত। করলা ভাজা, করলা সেদ্ধ, তেতো চচ্চরি শুক্তোতেও করলা দিয়ে রাঁধলে ব্যাপক স্বাদ পাওয়া সম্ভব। বাংলায় একটি কথা আছে করলার স্বাদ তেতো হলেও এর অনেক মিষ্টি গুণ আছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক করলার মিষ্টিগুণ
১. শরীর কামড়ানি, পানি পিপাসা বেড়ে যাওয়া, বমিভাব হওয়া থেকে মুক্তি পেতে উচ্ছে বা করলার পাতার রস উপকারী। এক চা চামচ করলা পাতার রস একটু গরম করে অথবা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার করে খেলে উপকার পাবেন।
২. করলায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে পারে সেদিকে নজর রাখে। ফলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। অ্যানিমিয়া এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই সবজিটি দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।
৩. ম্যালেরিয়ায় করলা পাতার রস খেলে খুব উপকার মেলে। এছাড়া ম্যালেরিয়ার রোগীকে দিনে তিনটে করলার পাতা ও সাড়ে তিনটি আস্ত গোলমরিচ এক সঙ্গে থেঁতো করে নিয়ম করে ৭ দিন খাওয়ালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। করলার পাতার রস খেলে জ্বর সেরে যায়। এছাড়া শিশুদের শরীর থেকে কৃমিও দূর হয়।
৪. করলা খেলে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, শরীরে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
৫. প্রতিদিনের ডায়েটে করলাকে অন্তর্ভুক্ত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ নিমেষে হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণ বা ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৬. যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা করলার রস খেলে বিশেষ ভাবে উপকৃত হতে পারেন। করলার রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস পায়।
৭. পাইলসের কষ্ট কমাতে প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে ১০০ গ্রাম করলা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন এক মাসেই পাইলসের যন্ত্রণা একেবারে কমে যাবে। আর যদি করলা খাওয়া পাশাপাশি করলা গাছের মূল বেটে নিয়ে সেই পেস্ট পাইলসের উপর লাগাতে পারেন, তাহলে আরো দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।