বাজেট বাস্তবায়নে বিএনপিসহ সকলের সহযোগিতা চাইলেন কাদের

সময়: 11:17 am - June 13, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 132 বার
ক্ষমতা ‘দখলকারীদের’ মুখে নীতির কথা মানায় না: কাদের

ঢাকা: ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট বাস্তবায়নে বিএনপিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৩ জুন) এক ভিডিও বার্তা তিনি এই সহযোগিতার আহ্বান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের এ সংকটকালে সাধারণ ছুটিতে এতবড় একটি বাজেট প্রণয়ন ও উপস্থাপন করে সরকার যে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে, তার প্রশংসা করতে বিএনপি নিদারুণ কৃপণতার পরিচয় দিয়েছে। সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে সরকারের জনহিতকর কাজে এবং বাজেট বাস্তবায়নে আমরা বিএনপিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

তিনি বলেন, ‘সংকটময় পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার সরকার গণমুখী বাজেট উপস্থাপন করেছে। সঙ্কটকালে মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উত্তরণের এ বাজেট উপস্থাপন করেছে। এ বাজেট নিয়েও বিএনপি গতানুগতিক সমালোচনার বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে। জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা, মনের ভাষা শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন। তাই মানুষের সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মাধ্যমে অভীষ্টলক্ষ্য অর্জনের প্রামান্য উপস্থাপন এই বাজেট। শুধু বাজেট নয়, সরকারের যে কোনো কাজের সমালোচনাকে বিএনপি বিব্রত হিসাবে বেছে নিয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গঠনমূলক সমালোচনা করলে সেটা বাস্তবসম্মত হতো। কিন্তু তিনি সেটা না করে, আগেভাগে ঠিক করা মনগড়া, গতানুগতিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।’

মির্জা ফখরুল বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলেছেন। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা কথা বিবেচনায় থাকলে তিনি এত সহজে বলতে পারতেন না। রাজনৈতিক বিবেচনায় আকস্মিকভাবে আউট অফ বক্স কোনো বরাদ্দ দিলে সেটা চোখ ধাঁধানো হলেও বাস্তবসম্মত সত্য নয়।

সড়কমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা সংকট মোকাবেলাশ শুধু স্বাস্থ্যখাত নয়, স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি সব খাতকে করোনা প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন খাতে নতুন নতুন কিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যেগুলো বাজেটে দেখানো সম্ভব হয়নি। করোনা ভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রেখেছে সরকার।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি করোনা প্রভাব রাজস্ব আয় কমেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যেকোনও মূহূর্তে জাতীয় আয়-ব্যয় কমবেশি হতে পারে। সেজন্য এটাকে ফ্যাক্সিবল ডকুমেন্টস হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সরকার করোনার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যয়ের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। জনগণের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য শেখ হাসিনা সরকার জনকল্যাণমূলক, জীবনঘনিষ্ঠ খাতসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতেও বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।’

কালো টাকা সাদা করার বিষয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এবারের বাজেটে অপ্রদর্শিত টাকা নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে নিয়মিত করার সুযোগ দেওয়ায় কিছু গতানুগতিক সমালোচনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।’

‘যারা সমালোচনা করছেন, তারা নির্দিষ্ট কিছু এজেন্ডা সামনে রেখেই আসলে সমালোচনা করেন। অন্যদিকে সরকার বাস্তবতার নিরিখে জাতীয় অর্থনীতির সুনির্দিষ্ট কতিপয় খতে বিনিয়োগের সুযোগ রেখেছে। অর্থনীতির সব খাতে এ সুযোগ দেয়া হয়নি। করোনা সংকটে সুনির্দিষ্ট খাতগুলোতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এ সুযোগ রাখা হয়েছে।’

এতে দেশে টাকা দেশে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে। অর্থ পাচার বন্ধ হবে। এ সুযোগ দানের পাশাপাশি সরকারি দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না। এটা শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এই বিভাগের আরও খবর