জল ঘোলা শেষে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচনে পরাজয়ের পরও হার স্বীকার করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। উল্টো কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। যদিও অধিকাংশ মামলাই খারিজ হয়ে গেছে। ট্রাম্প জয়ের সম্ভাবনা থাকা মিশিগানে হারের পর সুর নরম করেছেন। এতদিন জল ঘোলা করে জয়ী জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে অবশেষে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসি।
মূলত মিশিগান অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের বিজয় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সার্টিফাই’ হওয়ার পরই ট্রাম্পের কাছ থেকে এমন নাটকীয় ঘোষণা এল। মিশিগানের ঘটনা ট্রাম্পের জন্য একটা বড় ধাক্কা। এই অঙ্গরাজ্যে সবসময় রিপাবলিকানরাই জয়ী হয়।
ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, মার্কিন সরকারের যে সংস্থা ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি দেখভাল করে, তাদের যা করণীয়, তা অবশ্যই করা উচিত। তবে সুর নরম করলেও ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে তার পরাজয় মেনে নেননি। তিনি তার লড়াই অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি দেখভাল করা ফেডারেল এজেন্সি জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) বলেছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন নির্বাচনে জয়ী বলে প্রতীয়মান হওয়ার বিষয়টি তারা স্বীকার করছে।
এদিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ট্রানজিশন টিম এক বিবৃতিতে বলেছে, “আজকের এই সিদ্ধান্ত মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফেরানোসহ আমাদের দেশ এখন যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, সেগুলোর মোকাবেলা শুরুর একটি জরুরি পদক্ষেপ।”
বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হলেও ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করতে এখনো রাজি নন। নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে করা মামলাগুলোও চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ওই টুইটেই ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের মামলাগুলো জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। আমরা ভালোভাবে লড়ে যাব। আর বিশ্বাস করি, আমরা টিকে থাকব।’
তবে নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর এভাবে জিএসএকে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হওয়ায় একটি বিষয় উঠে এসেছে; আর তা হলো ট্রাম্প দেয়ালের ভাষা বুঝতে পারছেন। এটা বুঝেছেন, বিলম্বে কাজ হবে না, জনরায় মানতেই হবে।
জিএসএকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনার মাধ্যমে এখন বাইডেন অর্থ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন, অফিস ব্যবহার করতে পারবেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বসতে পারবেন। অর্থাৎ ক্ষমতা গ্রহণের আগেই প্রয়োজনীয় ও জরুরি কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পারবেন।