বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণে ইসলামী আন্দোলনের দাবি পর্যবেক্ষণ করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার হবে: পরশ
ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণে ইসলামী আন্দোলনের দাবি পর্যবেক্ষণ করে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডির ৩২ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গেল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে এক সমাবেশ থেকে ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর নামে স্থাপিত ভাস্কর্যকে ‘মূর্তি’ আখ্যা দিয়ে তা অপসারণের দাবি তুলে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন।
ওই সমাবেশে বক্তরা বলেন, মূর্তির বদলে আল্লাহ, কোরআন ও হাদিসের বাণী সম্বলিত মিনার স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ মসজিদের দেশ, আউলিয়ার দেশ, মাদরাসার দেশ। এদেশে কোনও মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না।
ভাস্কর্যকে “অনৈসলামিক’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন সময় তার বিরোধিতায় নেমেছে ইসলামী দলগুলো। হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের অব্যাহত দাবির মুখে ২০১৭ সালের ২৬ মে মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে সরানো হয়েছিল ভাস্কর মৃণাল হকের শিল্পকর্ম জাস্টিস লেডির ভাস্কর্য।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার শপথ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যুবলীগকে মানবিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা হবে। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার শপথ নিয়েছে যুবলীগ। সংগঠনে যুক্ত নতুনরাই মানুষের পাশে দাঁড়াবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করবে কার্যনির্বাহী কমিটি।’
তৃণমূল থেকে সংগঠন শক্তিশালী করা হবে বলে জানান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির স্মৃতি প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে ’৭৫ এর মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের সকল শহীদ-স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, কবর জিয়ারত, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।