বাইডেনের যা কিছু অজানা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই বিভাজনের রাজনীতিকে মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন জো বাইডেন। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতেও তিনি বদ্ধপরিকর। মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের বেহাল অর্থনীতির উন্নয়নই হবে তার মূল লক্ষ্য এমনই বার্তা দিয়েছেন।
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার অপেক্ষায়। বাইডেন অবশ্য প্রায় অর্ধশতক ধরেই সাধারণ মানুষের নজরে এসে গেছেন। ১৯৪২ সালে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে জন্ম নেন। বর্তমানে ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বয়স্কতম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
তিনি প্রথম সিনেটর নির্বাচিত হন ১৯৭২ সালে। এরপর টানা ছয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৯৮৮ সালে। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার। বারাক ওবামার সময় তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। শুধু কাজের জন্য ওবামার সঙ্গে তার সম্পর্কের কেমিস্ট্রির কারণে ওই সময় গণমাধ্যমে ‘ব্রোমান্স’ শব্দটি বারবার উচ্চারিত হয়েছে।
রাজনীতিক ও সরকারি নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন কাজ করলেও জো বাইডেনের ব্যক্তিগত কিছু বিষয় বেশ মজার। সেদিকে সাধারণ মানুষের এতোদিন খুব একটা নজর না পড়লেও সম্প্রতি বাইডেন ইনস্টাগ্রামে তার ব্যক্তিগত ১১টি মজার বিষয় প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, আমি জানি, আপনি আমাকে টিভি বা সোস্যাল মিডিয়ায় যেরকমটি দেখেন তেমনটিই ভাবেন। কিন্তু আপনার আমার বাস্তব জীবনের অনেক কিছু জানার সুযোগ পাননি। এ কারণে আমি আমার জীবনের ১১টি বিষয় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।
এই বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা বা কম জানা তথ্য:
১. জো বাইডেন হাই স্কুল ফুটবল দলে খেলেছেন। ২২ গজের দলে ওয়াইড রিসিভার এবং রক্ষণভাগে খেলতেন। ১৯৬০ সালে তার দল অপরাজেয় হয়ে ওঠে।
২. যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। এর আগে প্রথম ক্যাথলিক ছিলেন জন এফ কেনেডি।
৩. গাড়ির প্রতিও রয়েছে তার ব্যাপক আগ্রহ। তার কাছে এখনও রয়েছে ৬৭ করভেট স্টিংরে। এটি তিনি বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন।
৪. যুক্তরাষ্ট্রের ‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধ আইন’ জো বাইডেনের হাতে লেখা এবং এই আইনের প্রধান প্রচারক।
৫. ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে বাইডেনের স্ত্রী নীলিয়া এবং তাদের এক বছরের কন্যা অ্যামি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। পুত্র বো এবং হান্টারও আহত হয়। ওই সময়ই তিনি প্রথমবারের মতো সিনেটর নির্বাচিত হন। মাতৃহারা দুই সন্তানকে সময় দেয়ার জন্য তিনি ডেলাওয়ারের উইলমিংটনের বাড়ি থেকে দৈনিক ট্রেনে চেপে রাজধানী ওয়াশিংটনে যেতেন।
৬. গাড়ি দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও কন্যাকে হারানোর পরে জো বাইডেন তার ছেলের হাসপাতালের বেডের পাশে দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছিলেন।
৭. ছোট থেকে তার কথা জড়িয়ে যেত। সঠিকভাবে স্পষ্ট করে কথা বলতে পারতেন না। মঞ্চে কথা বলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইয়েটস এবং এমারসনের কবিতা আবৃত্তি করতেন।
৮. সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে নির্বাচিত সবচেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে একজন ছিলেন জো বাইডেন। তখন বয়স ছিল ২৯। তবে শপথের সময় সংবিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ৩০ বছর বয়সে উপনীত হন তিনি।
৯. হোয়াইট হাউসে আট বছর, জো বাইডেন এবং বারাক ওবামা অবশ্যই ব্যস্ত মানুষ ছিলেন, কিন্তু সাপ্তাহে একটা দিন মধ্যাহ্নভোজে একসঙ্গে সময় কাটাতেন।
১০. বাইডেন কুকুর প্রেমীও। তার রয়েছে দুটি জার্মান শেফার্ড। নাম চ্যাম্প এবং মেজর।
১১. জো বাইডেন আইসক্রিম পছন্দ করেন। তার প্রিয় ফ্লেভার চকোলেট চিপ।