টিকিটের জন্য হাহাকার, আজও রাজপথে সৌদি প্রবাসীরা
ঢাকা: বিমানের টিকিট সংকটে হুমকিতে প্রবাসীদের সৌদি আরব ফেরা। তাই টিকিট চেয়ে আজও রাজপথে নেমেছেন করোনার সময় বাংলাদেশে এসে আটকে পড়া সৌদি প্রবাসীরা। তারা বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসের সামনে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন, তার পরও টিকিট মিলছে না।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে কয়েক হাজার প্রবাসী জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় টিকিটের দাবিতে তারা নানা স্লোগান দেন। ৬৪ জেলা থেকে কয়েক হাজার লোক এসে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।
বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা বলছেন, ১ অক্টোবরের মধ্যে আমরা যদি সৌদিতে ফিরতে না পারি; তবে আমাদের আকামা বাতিল হয়ে যাবে। বিক্ষোভে অংশ নিতে কুমিল্লা থেকে আগত আলমাস হোসেন বলেন, সরকারের জরুরি পদক্ষেপ না নিলে আমরা সৌদিতে ঢুকতে পারব না। আমাদের পরিবার বিপদে পড়ে যাবে। আমরা বেকার হয়ে পড়ব।
কুষ্টিয়ার কবির হোসেন বলেন, আমাদের আকামা ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সৌদি সরকার ঢুকতে দেবে না। আমরা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের বলা হয়েছে, তোমরা যথাসময়ে সৌদিতে না এলে আমাদের করার কিছু নেই। সরকার যেন জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়ে যাদের আকামা নেই, তাদের টিকিটের ব্যবস্থা করেন, প্রবাসীরা বিক্ষোভে সেই দাবিই জানিয়ে আসছেন।
প্রবাসীরা বলেন, বিভিন্ন মেয়াদে তাদের সবার রিটার্ন টিকিট কেনা আছে। এ সময়ের মধ্যে তারা যদি সৌদিতে ফিরতে না যেতে পারেন, তা হলে যেন তিন মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সৌদি সরকারের কাছে সেই আবেদন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
ফ্লাইট সিডিউল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার সৌদি প্রবাসী টিকিট কাটতে ছুটে আসছেন ঢাকায়। প্রতিদিনই এদের সংখ্যা বাড়ছে। টিকিট নিয়ে রাজধানীজুড়ে চলছে হাহাকার। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস কিছু যাত্রীকে টোকেন দিলেও এখনও টিকিট ইস্যু করেনি। যাদের রিটার্ন টিকিট আছে তাদের টিকিটও রি-ইস্যু করছে না। হাজার হাজার যাত্রীর মধ্যে প্রতিদিন ৩০০ জনকে টোকেন দিচ্ছে এয়ারলাইনসটি। এ কারণে সংস্থার একমাত্র কার্যালয় সোনারগাঁও হোটেল মোড়ে দাঁড়ানোর জায়গা নেই।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কোনো ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য অফিস বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দেশে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের সৌদি আরবে যাওয়া নিশ্চিত করতে সে দেশের সরকারকে তিন মাসের জন্য আকামার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বাংলাদেশের দূতাবাস এ অনুরোধ জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।