পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্পর্শকাতর’ তথ্য দিয়েছেন শিপ্রা: র‍্যাব

সময়: 7:58 am - August 11, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 64 বার
পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্পর্শকাতর' তথ্য দিয়েছেন শিপ্রা: র‍্যাব

ঢাকা: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহতের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও সিনহার তথ্যচিত্র নির্মাণ কাজের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাত কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

শিপ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিনহা হত্যা মামলায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‍্যাব)।

জিজ্ঞাসাবাদে শিপ্রা একটি স্পর্শকাতর কথা বলেছেন। তা হলো- এটা তার জীবনের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। জীবনের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও তিনি বিচার দেখে যেতে চান। প্রয়োজনে ন্যায়বিচারের স্বার্থে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে এক আলাপকালে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘মেজর (অব.) সিনহা নিহতের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী তারা (শিপ্রা ও সিফাত) মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সে কারণে তাদের বিশদভাবে জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। কারণ একটি ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সাক্ষী। তেমনই মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ অন্যতম সাক্ষী।’

তিনি বলেন, ‘শিপ্রা একটি স্পর্শকাতর কথা বলেছেন। তা হলো- এটা তার জীবনের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। জীবনের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও তিনি বিচার দেখে যেতে চান। প্রয়োজনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।’

ঘটনার সময় লুট হওয়া ল্যাপটপ ও ক্যামেরার বিষয়ে র‍্যাব কী করবে- জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি, এসব জিনিস আলামত হিসেবে দেখানো হয়নি। তবে এই ঘটনায় দুজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে র‍্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারপরই পুলিশের যারা সিজারলিস্ট করেছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব গণমানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে সে হিসেবে এই মামলাটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত হয়ে তদন্ত করবে। মামলার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করা। পাশাপাশি কী কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে র‌্যাব কাজ করছে।’

র‍্যাবের মুখপাত্র আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘মূলত যে ৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রত্যেকে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার খুঁটিনাটি এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানিয়েছে তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার সাহা, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিত এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সিফাত এবং শিপ্রা দুজনকে তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। তদন্ত কর্মকর্তা যেহেতু মনে করছেন- তদন্তের শুরুতে সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তাই মূল অভিযুক্তদের পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সিফাত ও শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে একটি মাদক মামলা। অন্য দুটির মধ্যে রয়েছে- সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশ বাদী মামলা।

তিনি বলেন, এই তিনটা মামলা র‍্যাব তদন্ত করছে। এরইমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলার আলামত ও সাক্ষীসহ সবকিছু র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তারা বুঝে নেবেন।’

এই বিভাগের আরও খবর