২০০টি কোরবানির পশুর হাট বসানো ও ঈদে সরকারি ছুটি ১২ দিন ঘোষণার দাবি
ঢাকা: জাতীয় কমিটি কর্তৃক ঢাকাসহ ৪ মহানগরীতে কোরবানির পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে ঢাকায় ২০০টি কোরবানির পশুর হাট বসানো ও ঈদে সরকারি ছুটি ১২ দিন ঘোষণার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী ওলামা লীগ।
ওলামা লীগ নেতারা বলেন, করোনা অথবা যানজটের অজুহাতে কোরবানির পশুর হাট রাজধানীর বাইরে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান, হক্কানী-রব্বানী আলিম সমাজ তথা ওলামা লীগ বরদাশত করবে না। কোরবানির হাটের সময় ১০ দিন করা হোক। রাস্তাঘাট বন্ধ করে ঢাকা মহানগরে ২২১টি মন্ডপ হতে পারলে কোরবানির হাট মাত্র ২১টি কেন? প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক কমপক্ষে ২০০ কোরবানির হাট বসানো হোক।
মঙ্গলবার ১২ দফা দাবিতে আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমাননা ১২টি দলের মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কোরবানির হাট নিষিদ্ধ করলে বা হাটের সংখ্যা কম করা হলে পবিত্র কোরবানিতে নিরুৎসাহিত করলে এবং ফ্লাট বাড়িতে কোরবানি নিষিদ্ধ করলে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের দেশের সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। পাশাপাশি পবিত্র কোরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনও আইন পাস হবে না। এতে সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে।
কোরবানিদাতারা ডিজিটাল হাটের নামে প্রতারিত হতে পারেন, কাজেই ডিজিটাল হাট বসানো যাবে না বলেও দাবি ওলামা নেতাদের।
কোরবানির ঈদ তিন দিন, কাজেই আসন্ন কোরবানির ঈদে সরকারিভাবে ১২ দিন ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কোরবানির পশুর হাট ইবাদতের হাট। কাজেই এ হাটে গান-বাজনা, গরুর ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম কাজ মুক্ত করা হোক। তথাকথিত ডিজিটাল হাট করা পবিত্র দ্বীন ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। তাই ডিজিটাল হাটের নামে হারাম কাজ ও প্রতারণার ফাঁদ বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি কোরবানির হাটে পর্যপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন বসানো হোক। পাশাপাশি কোরবানির পশু পরিবহনের গাড়িতে চাঁদাবাজি এবং ঈদের দিন চামড়া সংগ্রহে মাস্তানদের উৎপাত বন্ধ করা হোক।
তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চায় লকডাউনের নামে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে। একইভাবে তাদের এজেন্টরা চাচ্ছে করোনার অজুহাতে পবিত্র কোরবানি বাধাগ্রস্ত করে দেশের পোল্ট্রি খামারিদের মাঠে বসাতে। সরকারকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে খুনি মোশতাকের বংশবদরা এখনও ভর করে আছে। তারা মহাসম্মানিত পবিত্র কোরবানির বিরুদ্ধে এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে সাধারণ ধর্মপ্রাণরা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। সাধারণ ধর্মপ্রাণদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান সংক্ষুব্ধ হয়। জামায়াত-শিবির তাতে উস্কানি দিয়ে সরকারকে ইসলামবিরোধী বলে প্রমাণ করতে পারে এবং সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিতে পারে।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে সমন্বয় করেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। এতে বক্তব্য রাখেন- ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী প্রমুখ।