মুগদা হাসপাতালে রোগী ও সাংবাদিকের ওপর হামলা: ২ আনসার প্রত্যাহার
ঢাকা: রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে ব্যর্থ হওয়া এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় দুই আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালের ওই ঘটনার ছবি তুলতে যাওয়া দুই ফটো সাংবাদিকের ওপরও চড়াও হয়েছিলেন অভিযুক্ত আনসার সদস্যরা। তাদের আক্রমণে এক ফটো সাংবাদিকের ক্যামেরার প্রটেক্টর ভেঙে গেছে।
শনিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর আনসার পূর্ব জোন পরিচালক (জোন কমান্ডার) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে মুগদা হাসপাতালের দুইজন আসনার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে, গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিয়ম লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করায় মুগদা হাসপাতালে করোনার নমুনা দিতে আসা রোগী শাওনকে মারধর করে হাসপাতালটির দুই আনসার সদস্য। সেই ছবি তোলার কারণে হামলা করা হয় একজন ফটোসাংবাদিকের ওপর। ভেঙে ফেলা হয় তার ক্যামেরা। লাঞ্ছিত করা হয় আরেক নারী ফটো সাংবাদিককেও।
হামলার শিকার ফটোসাংবাদিক দৈনিক দেশ রূপান্তরের রুবেল রশীদ। আর লাঞ্ছিত করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটোসাংবাদিক জয়িতা রায়কে।
রুবেল রশীদ ব্রেকিংনিউজকে জানান, মুগদা হাসপাতালে কভিড-১৯ টেস্টের জন্য আজ ৪০ জনকে টিকিট দেয়া হয়। কিন্তু ৩৪ জনের পরীক্ষা করেই আনসার সদস্যরা বলেন আজ পরীক্ষা শেষ। তখন ৩৬ নম্বর সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা শাওন হোসেন নামের এক যুবকের সঙ্গে আনসার সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আনসাররা তার গায়ে হাত তোলেন।
তিনি আরও জানান, ওই ঘটনার ছবি তুলতে যান বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলোকচিত্রী জয়িতা রায়। এ সময় আনসার সদস্যরা তাকে থাপ্পড় দিতে এলে জয়িতা সরে পড়েন।
তিনি বলেন, ‘এরপর ঘটনার ছবি তুলতে আমি এগিয়ে যাই। তখন আনসার সদস্যরা থাপ্পড় মেরে আমার ক্যামেরার ফিল্টার ভেঙে ফেলে।’
রুবেল রশীদ আরও বলেন, ‘আনসার সদস্যরা সাংবাদিকদের গালাগাল করেন এবং বেঁধে রাখার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা বলেন- এখানে সাংবাদিকদের রংবাজি চলবে না। আমাদের রংবাজি চলবে।’