স্বদেশ কর্পোরেশন কোটি কোটি টাকা প্রতারণার নৈপথে যুবলীগ নেতা মনির হওলাদার

সময়: 10:25 am - July 2, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 86 বার
স্বদেশ কর্পোরেশন কোটি কোটি টাকা প্রতারণার নৈপথে যুবলীগ নেতা মনির হওলাদার

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বদেশ কর্পোরেশন প্রতারণার করে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চেয়ারম্যান ও জিএমকে আটক করছে র‌্যাবের ভ্রম্যমাণ আদালত। ঋণের প্রলোভনে দরিদ্রদের ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় স্বদেশ করপোরেশন। ঋণ দেয়ার কথা বলে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৪-৫ হাজার জনের কাছ থেকে জামানত হিসেবে প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুনীর্তিগ্রস্থ এ স্বদেশ করপোরেশন।

শুধু তাই নয়, গ্রাহকের চাপে হাতিয়ে নেয়া জামানতের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার নামেও এ প্রতিষ্ঠান করেছে চেক জালিয়াতির প্রতারণার থেকেও পিছিয়ে নেই বললেই চলে। জামানতের টাকা ফেরানোর নামে যে চেক গ্রাহকদের দেয়া হয়, সেই অ্যাকাউন্টে বিগত দুই বছরে কোনো লেনদেন হয়নি, নেই কোনো টাকাও।

এছাড়া, করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মজুত ও বিক্রি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি আর এর কারণে র‌্যাবের ভ্রামমাণ আদালতের কাছে ফেসে যায় তারা।

গত বুধবার বিকালে স্বদেশ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাইফুল কবীর ও মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। রাজধানীর মতিঝিলে মধুমিতা সিনেমা হল সংলগ্ন সমবায় ব্যাংক ভবনের পঞ্চম তলায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দুজনকে ধরা হয়। পরে সেখানে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সাইফুল কবীরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং আড়াই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, স্বদেশ করপোরেশনের এ দুনীর্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে আওয়ামী যুবলীগের এক নেতা। তার নাম মনিরুল ইসলাম হাওলাদার। তিনি যুবলীগের নামধারী সাবেক দপ্তর সম্পাদক! যদি ও তিনি দপ্তর সম্পাদক ছিলেন না, তাকে সবাই দপ্তর হিসেবে চেনেন। তবে তিনি নিজে ও এই পরিচয়টি দিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বড় বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। পেশা হিসেবে তিনি দুনীর্তি বেছে নিয়েছেন।

যুবলীগের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মনির হাওলাদার আগে একটি কম্পিউটারের অফিসে কাজ করেতেন। সেখান থেকে সাবেক যুবলীগের এক বড় নেতার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন, এরপর যুবলীগ করে হয়ে যান কোটিপতি। ক্যাসিনো সম্রাট গ্রুপের অংশীদার ও ছিলেন তিনি।

এদিকে কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সদার্র মোহাম্মাদ আলী মিন্টু ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।


যুবলীগের মনিরের নেতৃত্বে স্বদেশ কর্পোরেশনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত, চেয়ারম্যান-জিএম আটক অন্যরা পলাতক

সূত্রমতে জানা যায়, স্বদেশ করপোরেশনের সব প্রকার ঝড় তুফান তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ে মোকাবেলা করতেন। আর তার বিনিময়ে তিনি কোম্পানীর মালিকানার দায়িত্ব নেন।

জানা গেছে, মনির হাওলাদার স্বদেশ করপোরেশনের পরিচালকের দায়িত্ব পালন কাছে অনেক মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ টাকা ফেরত চাইলে বড় বড় নেতাদের নাম বলে পার পেয়ে যেতেন। স্বদেশ করপোরেশনের অফিসে অনেক মানুষ টাকার জন্য গেলে মনির তা নিজ দায়িত্বে নিয়ন্ত্রণ করতো।

স্বদেশ করপোরেশনের দুনীর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারের সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু স্যার।তিনি এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যব ৩ এর অপারেশন অফিসার বলেন, সততা নিষ্ঠার সাথে র‌্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য স্বদেশ কর্পোরেশনের দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব আরো ভালো বলতে পারবেন।

র‌্যাব তিন এর তথ্য মতে জানা যায়, সাইফুল কবীর ও শফিকুল ইসলামসহ প্রতারণায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। এবং র‌্যাব অন্যান্য পরিচালক, এমডি, ডিএমডিসহ সবাইকে তদারকিতে রেখেছেন।

র‌্যাবের অনুসন্ধানে জানা যায়, সারাদেশে স্বদেশ করপোরেশনের ২২টির মতো শাখা রয়েছে। ৪-৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে তারা এ রকম প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ১৫-২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এই বিষয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতেরনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রথমিকভাবে স্বদেশ করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও জিএমকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের নজরে রাখা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরো জানান, ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে বিভিন্ন ধারায় সাইফুল কবীরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড, আড়াই লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলার আলামত হিসেবে প্রাপ্ত অনুমোদিত জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, জামানতকারীরা যখন ঋণের জন্য ঘুরতে থাকেন, তখন এড়িয়ে চলতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও ঋণ না পেয়ে গ্রাহকরা জামানত ফেরত চাইলে তা দেয়ার নামেও নতুন প্রতারণা শুরু করে স্বদেশ করপোরেশন। জামানতের টাকা ফেরতের নামে তারা গ্রাহকদের চেক দেয়। কিন্তু চেক যে অ্যাকাউন্টের বিপরীতে দেয়া হয়, সেই অ্যাকাউন্টে দুই বছরে কোনো লেনদেনের রেকর্ড নেই এবং কোনো টাকাই সে অ্যাকাউন্ট ছিল না। এভাবে অসংখ্য গ্রাহক তাদের এই প্রতারণায় ভোগান্তিতে পড়েন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু আরো বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে বেশকিছু জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে, যেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই। তিনি বলেন, অভিযানের একপর্যায়ে আমরা দেখলাম স্বদেশ করপোরেশনের কার্যালয়ের একটি কক্ষে অবৈধভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মজুত করা হয়েছে, যেগুলোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন নেই। সেখানে রয়েছে বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ফ্লোর ক্লিনার। এছাড়া সেখানে অরেঞ্জ জুস ও মশার কয়েলের প্রচুর খালি প্যাকেটও পাওয়া যায়।

এদিকে র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের পরিচয়কারী দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন স্বদেশ করপোরেশন থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন অভিযোগ আমলে নিয়েই কাজ করছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব।

স্বদেশ কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও জিএমকে আটক করে র‌্যাব

মনিরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে আপনারা জানেন চেয়ারম্যান এবং এজিএম দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যব। দারিদ্রদের ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে মতিঝিল থানায় রেগুলার মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইনভেস্টিগেশনে অফিসার কাজ করছে। তাছাড়া আদালত যখন ইনভেস্টিকেশন এর নির্দেশ দিবে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে বা র‌্যাবকে পারে দিতে পারে পারে। এ মামলার তদন্ত পর বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনা যুবলীগের মনির বা অন্য কারা জড়িত রয়েছে।

স্বদেশ কর্পোরেশনের এই দুর্নীতির সঙ্গে যুবলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক (পরিচয়কারী) মনিরুল ইসলাম হাওলাদার জড়িত রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বলেন, অধিকাংশ পরিচালক এমডি কর্মকর্তারা পলাতক আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি মামলা ইনভেস্টিকেশনের পরেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে।

যুবলীগের ওই (পরিচয়কারী) দপ্তর সম্পাদক সারাদেশের বিভিন্ন শাখা উদ্বোধন করে আসছিলেন এবং তিনি স্বদেশ কর্পোরেশনের একজন অন্যতম পরিচালক এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা পলাতক থাকার কারণে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে দেরি হচ্ছে। তবে মনিরুল ইসলাম হাওলাদার হোক বা অন্য কেউ জড়িত থাকুক। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাবেক (পরিচয়কারী) দপ্তর সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হাওলাদার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকৃতি করে বলেন, আমি স্বদেশ কর্পোরেশনের এমডি ছিলাম দুইটা প্রকল্পের কাজ নিয়েছিলাম। খুব কাছ থেকে দেখেছি তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল এ কারণে আমি ওখান থেকে সরে এসেছি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি স্বদেশ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান-এমডি ও কর্মকর্তারা পলাতক আপনি কি এখন পলাতক রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বদেশ কর্পোরেশনের সঙ্গে আমি নাই। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা এর সঙ্গে আমি জড়িত নেই। একসময় ছিলাম প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এখন নাই।

আপনি বিভিন্ন শাখা উদ্বোধন করেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কোথায় পরিচালক হিসেবে আবার কোথাও এমডি হিসেবে রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ নেতা বলেন, আমি প্রস্তাবিত এমডি ছিলাম, প্রথমে তাদের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি পরে দেখেছি তারা দুর্নীতি করে এজন্য আমি কাজ করতে নারাজ হয়েছে।

আপনি পলাতক- আত্মগোপনে রয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না আমি এখন আত্মগোপনে নাই আর আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ রয়েছে কিনা সেটাও আমি জানি না।

যুবলীগের মনিরের নেতৃত্বে স্বদেশ কর্পোরেশনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত, চেয়ারম্যান-জিএম আটক অন্যরা পলাতক

যা ইচ্ছা তাই করো টাকা দেতে পারবো না!

জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন ক্যাসিনো সম্রাট গ্রুপটি। তাছাড়া যুবলীগের মনির হাওলাদারের নেতৃত্বে স্বদেশ কর্পোরেশন ভিতরে ভিতরে শক্তি সঞ্চয় করে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেন।

স্বদেশ কর্পোরেশনের বিষয়ে:

ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম হাওলাদারের সঙ্গে পাওনাদারের কথোপকথন তুলে ধরা হলো: ফেসবুকের মাধ্যমে যুবলীগের এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ও স্বদেশ কর্পোরেশনে পরিচালক মনিরুল ইসলাম হাওলাদারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তার ফেসবুক এক পরিচিত বন্ধু। তার কাছ থেকে স্বদেশ কর্পোরেশনের নাম বিক্রি করে তিনি অনেক টাকা হাতিয়ে নেন।

এক পর্যায়ে স্বদেশ কর্পোরেশন এর সঙ্গে কাজ করতে নারাজ হয় মনির হাওলাদারের ফেসবুক সেই ফ্রেন্ড।

তিনি তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাইলে তিনি বলেন ১০ দিয়েছো আরো কিছু টাকা দাও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে কনফার্ম করা যাবে। তবে টাকাটি অগ্রিম দিতে হবে।

একপর্যায়ে সে রাজি না হওয়ায়, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার তাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে জানান টিপু আগামীকাল টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না মারো কাটো যাই করো ঈদের পর ছাড়া টাকা দিব না। তুমি যা পারো তাই করো।

তার ফেসবুক ফ্রেন্ড দুর্বল হওয়ার কারণে, মনির হাওলাদার তাকে আরও জানান তুমি বাড়াবাড়ি করতে চাইলে আমার ইজ্জত নষ্ট করতে পারবে না কিন্তু।

এদিকে যুবলীগের এই নেতা শুধু স্বদেশ কর্পোরেশন লিমিটেড নয়, দুর্নীতি করেছেন দেশের বিভিন্ন সেক্টরে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসেও কাজ করেছেন।

পাওনাদার তার নিজের টাকা ফেরত চাইলে যুবলীগ নেতা মনির তাকে বিভিন্ন ইশারায় হুমকী প্রধান করেন

এ বিষয়ে তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হুবহু তুলে ধরা হলো:

বড় ভাই আজ শুক্রবার ওই ছেলেটির পরীক্ষা বিষয়টি নিয়ে কি কথা বলেছেন?

মনিরুল ইসলাম হাওলাদার উত্তর দিলেন, ওকে?

তার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিখেছেন কাজটি করা যাবে ভাই?

যুবলীগ নেতা উত্তরে বললেন আগামীকাল জানাবো? তবে কত টাকা দিবে।

তিনি রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তদবিরে করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাম বিক্রি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম বিক্রি করে অগ্রিম টাকা নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্বদেশ কর্পোরেশন ও যুবলীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার ক্যাসিনো থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যুবলীগের কমিটি বাণিজ্য বিভিন্ন দপ্তরের এমপি-মন্ত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের পারপাস সাফ করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। স্বদেশ কর্পোরেশনের দুর্নীতি তার একটি অন্যতম প্রমাণ।

 

ভোরের পাতা/ভিআরথি

এই বিভাগের আরও খবর