ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে সরকার: পলক
নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনলাইনের মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আইসিটি মন্ত্রাণালয় সফল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ কে এগিয়ে নেয়ার লক্ষে ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের মডেল অনেক দেশ অনুকরন করছে। বর্তমান দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারী সকল কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগের তৃনমৃল নেতাকর্মী থেকে সর্বস্তরের কর্মীরা কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উত্তর সময়ে বিশ্বে কর্মসংস্থানের প্রেক্ষাপট বদলে যাবে। কর্মসংস্থান হবে প্রযুক্তি নির্ভর। দেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের উপযোগী করে তুলতে সরকার কাজ করছে।
ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানেজমেন্ট এন্ড মাল্টিমিডিয়া ইনোভেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। আগে থেকেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়কে বাধ্যতামূলক করে প্রতিষ্ঠানিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অব্যাহত রাখেতে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার ৬২১টি ক্লাস নেয়া হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্যে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে-যার মাধ্যমে পাঠগ্রহন ছাড়াও শিক্ষার্থীরা থিসিস পেপার জমা দেওয়ার মত কাজ করতে পারবেন। করোনাকালীন সময়কে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের জন্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনার দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে নিয়ে কাজ করতে করছেন। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের তরুন প্রজন্ম দেখেনি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মান হয়েছে। বর্তমান দুর্যোগে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইনশাআল্লাহ আমরা দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা হতে একটানা বেশ কয়েকটি উন্নয়নমুলক কাজের উদ্বোধন ও বিতরনকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন বানুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো: জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা হক রোজি,
উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন,
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শারমিন শিখা, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আল আমিন সরকার, উপজেলা বন কর্মকর্তা সত্যোন্দ্র নাথ প্রমূখ।
প্রতিমন্ত্রী এসময় ৩৫০ জন কৃষককে কৃষি উপকরন, ৩০০ জন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি, ৪০ জনকে বাই সাইকেল, ৫০ জনকে খেলাধুলার উপকরণ, ১০ হাজার গাছের চারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিকে প্রদান করেন।
পরে তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৃক্ষ রোপন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের নতুন ভবন নির্মানকাজের শুভ উদ্বোধন শেষে ৫০ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ডিও বিতরন করেন।