মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, ভারতের কোয়াড স্ট্র্যাটেজিতে চীন ফ্যাক্টর!

সময়: 6:58 am - September 24, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 47 বার
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর, ভারতের কোয়াড স্ট্র্যাটেজিতে চীন ফ্যাক্টর!

নিউজ ডেস্ক: গত প্রায় দেড় বছরে কোয়াডের অনেক ভার্চ্যুয়াল মিটিং হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের মধ্যে গত মার্চে অনলাইনে সম্মেলন হয়েছে। তাতে এসব দেশের নেতাদের মধ্যে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এশিয়ার দেশগুলোতে কমপক্ষে ১০০ কোটি ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা বিতরণে সহযোগিতায় নিশ্চিত হয়েছেন নেতারা। অনলাইন বিবিসিতে এ কথা লিখেছেন বিকাশ পান্ডে। তিনি আরো লিখেছেন, কিন্তু আজই কোয়াড দেশগুলোর নেতাদের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক বসছে। এ বৈঠক এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে যখন, এ সপ্তাহের শুরুতে নতুন এক বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিষয়ক যৌথ চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও বৃটেনের মধ্যে ওই চুক্তি- অকাস স্বাক্ষরিত হয়েছে।

জীবনে অনেক ন্যাপি পাল্টিয়েছি, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করলেন তিনি ছয় সন্তানের বাবা
এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়াকে বহু শত কোটি ডলারের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করা হবে। চুক্তির পরই ফ্রান্সের সঙ্গে আগে থেকে করা কয়েক শত কোটি ডলারের সাবমেরিন নির্মাণ চুক্তি বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। এ উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি।

কিন্তু এই অকাস চুক্তি কোয়াডের ওপর কি প্রভাব রাখবে? এসব ফোরামের নেতারা এ ইস্যুতে সরাসরি চীনের নাম এড়িয়ে গেছেন। তবে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাবকে কাউন্টার দিতেই এই চুক্তি করা হয়েছে। ফলে কোয়াড নেতাদের সঙ্গে যখন আজ বৈঠক হবে তখন চীনের নামটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভুলে যাবেন না বলেই মনে করা হয়। এই জোটের মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ, যার সঙ্গে চীনের রয়েছে অভিন্ন সীমান্ত। তা নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে ভারতের সঙ্গে চীনের রয়েছে তিক্ত সম্পর্ক। গত বছর এমনই একটি সীমান্ত লাদাখে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বহুজাতিক ফোরামে অংশ নিতে মুখিয়ে আছে ভারত। এসব ফোরামের সদস্য আবার চীনও। বিশ্লেষকরা বলেন, অকাস এবং কোয়াড উভয় ফোরাম থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব। কন্ট্রোল রিস্কস কনসালট্যান্সির পরিচালক প্রাত্যুষ রাও বলেছেন, এ অঞ্চলে চীনের প্রভাবকে কাউন্টার দিতে কোয়াডের অন্য তিন অংশীদারের সঙ্গে বিস্তৃত ও যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে দিল্লি সুযোগ পাবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, সামরিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক আর্থিক অবকাঠামোতে অভিন্ন ও দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার ভিত্তি রচনা করতে সহায় হবে এই বৈঠক। তিনি আরো বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা একে অন্যের প্রতি সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে অকাস ও কোয়াড দুটি ফোরামই।

ওয়াশিংটনে থিংকট্যাংক উইলসন সেন্টারের উপপরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, কোয়াড থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ৫জি অবকাঠামোর মতো উদীয়মান প্রযুক্তি শেয়ার করার ঘোষণা আসতে পারে। পাশাপাশি কোভিড টিকা বিতরণে সবাই একসঙ্গে কাজ করার কথা বলতে পারেন। কুগেলম্যান বলেন, এমন সিদ্ধান্ত এলে ভারত স্বস্তিতে থাকবে। কারণ, এমন সব সিদ্ধান্ত চীনের পক্ষে যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর