পাহাড় কাটা: ব্যবস্থা না নেয়ায় সচিবসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রুল

সময়: 9:57 am - July 4, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 73 বার
পাহাড় কাটা: ব্যবস্থা না নেয়ায় সচিবসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রুল

ঢাকা: চট্রগ্রামের বাঁশখালির গুনাগড়ি পাহাড়কে পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা ও পাহাড় কাটার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নিকট হতে খরচ আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।

রোববার (৪ জুলাই) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ।

তিনি জানান, গত ৩০ জুন আদালত অবমাননার আবেদন শুনানি করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মনজিল মোরসেদ বলেন, চট্রগ্রামের বাঁশখালি উপজেলার সরকারি গুনাগড়ি পাহাড় কেটে ২০১১ সালে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালিরা মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পাহাড় ধ্বংস করেছেন। এ সংবাদটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে আমাদের সংগঠন রিট করে।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৭মে এ রিটের রুলের শুনানি করে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারূল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে কয়েকটি নির্দেশনাসহ রায় ঘোষণা করেন।

নির্দেশনার মধ্যে ছিল-

১) বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ করে আগামী এক বছরের মধ্যে গুনাগড়ি পাহাড়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। সরকারের নিকট হতে এ ব্যাপারে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা।

২) পাহাড়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যে অর্থ খরচ হবে, তা যারা মাটি বিক্রি করার জন্য দায়ী তাদের নিকট হতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করা।

৩) যেসব সরকারি অফিসারদের দায়িত্ব পালনের সময় তাদের নিস্ক্রিয়তায় পাহাড় ধ্বংস করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়।

উক্ত রায় অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্তমান ও পূর্বে দায়িত্ব পালনকারী ৯ জন সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

যাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন- মো. আবদুল মান্নান, চট্রগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে সচিব, পাট মন্ত্রণালয়), বর্তমান জেলা প্রশাষক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আখতার, বর্তমান পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক, বাঁশখালির সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাব্বির ইকবাল, বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বাঁশখালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আবদুল মালেক ও মো. সাজাহান খান, বাশখালির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শফিউল কবির।

এই বিভাগের আরও খবর