কমিউনিটি হাসপাটালের অজ্ঞাত লাশ এখনও শনাক্ত হয়নি!
ঢাকা; মগবাজারে ভবন ধসে যাওয়ার ঘটনায় কমিউনিটি হাসপাটাল অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ এখন ও শনাক্ত হয়নি হাসপাটাল ও পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভবন ধসে যাওয়ার ঘটনায় এই হাসপাটালে ২ জন মারা গেছে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ২ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের মধ্যে একজন শিশু অন্য একজন বয়স্ক। শিশুটিকে তার পরিবার নিয়ে গেছে, তবে এখনও একজন বয়স্ক ব্যক্তির লাশ শনাক্ত বা তাদের স্বজনদের কোন সন্ধান মেলেনি।
বয়স্ক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ কমিউনিটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এবং সেখান থেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান হাসপাল কতৃপক্ষ। চিকিৎসকরা জানান, অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
কমিউনিটি মেডিকেল হসপিটালের কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ২০০ থেকে ২৫০ জন মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং ক্রিটিক্যাল ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল এর সুপারভাইজার স্বাধীন বলেন, আমরা এ পর্যন্ত আমাদের হাসপাটালে আহত অসংখ্য মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, কমপক্ষে ২০০-২৫০ জন ব্যক্তিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি আমরা এবং গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে হস্তান্তর করেছি।
স্বাধীন আরো বলেন, এ ঘটনায় আমাদের হসপিটালের চিকিৎসকেরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেছে একজন শিশু ও অপর একজন বয়স্ক। হসপিটাল থেকে মারা যাওয়া শিশুকে তার পরিবার নিয়ে গেছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০-৪৫ বছর লাশ মর্গে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে তার লাশ এখন ও কেউ নিতে আসেনি।
ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেলের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হসপিটালের কর্মরত কর্মচারীরা এই ঘটনায় আহতদের ডেসিং ও সেলাই সহ সাধারণ চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত, জানা যায় মগবাজারে ট্রাজেডির ঘটনায় শর্মা হাউস নামে একটি রেস্টুরেন্টের জেনারেটর ও গ্যাস বিস্ফরণ হয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ভবনটি নিচের দিকে ধসে পড়ে এবং আশেপাশে চলাচল রত যানবাহনের ওপর এ ভবনটির বিভিন্ন জিনিস পড়ে, যার কারণে আশেপাশের অনেক লোক আহত হয়।