ঘাটে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের সারি

সময়: 10:56 am - May 9, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 74 বার
ঘাটে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের সারি

মুন্সিগঞ্জ: সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-বাংলাবাজারসহ সকল ফেরিঘাটে দিনের বেলায় সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র রাতের বেলায় পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত শুক্রবার থেকেই দেখা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। ফেরিতে ঠাসাঠাসি করে মানুষকে নদী পারাপার হতে দেখা যায়।

পাটুরিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে নৌরুট দিয়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে বিভিন্ন নৌরুটে মানুষ ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে বিভিন্ন ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরও বেড়ে যায়। যা আজ রোববার আরো বৃদ্ধি পায়।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের অবাধে যাতায়াত ঠেকাতে শিমুলিয়া ঘাটে রোববার (৯ মে) সকাল থেকে টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে বিজিবি সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা কৌশলে যাত্রীরা ঢুকে পড়ছেন ঘাট এলাকায়।

বিজিবি মোতায়েনের পরও রোববার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় বাড়িফেরা মানুষদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। এখনো ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো যাত্রী। ঘাটে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের সারি। বিজিবির বাধা সত্ত্বেও জোর করে ফেরিতে উঠছে যাত্রীরা।
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে শিমুলিয়া ঘাট থেকে সকাল ১০টার দিকে প্রায় দুই হাজার যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে ফেরি শাহপরাণ। এর আগে ১১টি অ্যাম্বুলেন্স ও কিছু যাত্রী ছেড়ে যায় ফেরি ফরিদপুর।

এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, যখন অ্যাম্বুলেন্স আসছে আমরা তা পার করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। অ্যাম্বুলেন্স পার করতে গিয়েই যাত্রীরা জোর করে ফেরিতে উঠে পড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর