করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩০ লাখ ৪৩ হাজার
ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বে ভয়াবহভাবে বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মারা গেছেন সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ২৮ হাজার মানুষ। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ৪৩ হাজার।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ২৮ হাজার ৮৯৭ জন। এতে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯৪৩ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪১ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৪ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৫০ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২২২ জন, রাশিয়ায় ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৬৯০ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৩ জন, ইতালি ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯৪ জন, তুরস্কে ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৬ জন, স্পেন ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন, জার্মানি ৩১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ৫ হাজার ৬০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ এক হাজার ১৮০ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৫ হাজার ৯২৮ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ২৭৪ জন, ইতালিতে এক লাখ ১৭ হাজার ২৪৩ জন, তুরস্কে ৩৬ হাজার ২৬৭ জন, স্পেনে ৭৭ হাজার ১০২ জন, জার্মানিতে ৮০ হাজার ৭৭৪ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৩৯ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করছে।