সামাজিক অনুশাসন না থাকায় ৫০ বছরে এমন অপরাধের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে

সময়: 2:20 pm - April 5, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 65 বার
সামাজিক অনুশাসন না থাকায় ৫০ বছরে এমন অপরাধের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে

মেহেদী হাসান:

ঢাকা: মাদক বিক্রি ও সেবন, নারী পাচার, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এ রকম অসংখ্য ঘটনা-দুর্ঘটনা তথা সামাজিক অপরাধের সাথে যুক্ত। সবকিছু মিলে এসব নিয়ে আমরা এক চরম অস্থিরতার মধ্যে বসবাস করছি। এসব নানামুখী অপরাধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ। এমন অপরাধের কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, যেমন- শিক্ষক, মুয়াজ্জিন, পাদ্রি, পুরোহিত। এ ছাড়াও, আতঙ্কে থাকেন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা। এসব অপরাধের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক কিছু। আমাদের দেশে ৫০ বছরে সামাজিক অপরাধের অনেক পরিবর্তন ঘটছে।

এদিকে, ব্যক্তিগত কিছু সামাজিক অপরাধের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। যার কারণে বাড়ে অনেক ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা। বতর্মান দেশে সামাজিক অপরাধের পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এমন ধরনের অপরাধের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যদের শরণাপন্ন হলে কিছুটা এ ধরনের অপরাধ মোকাবেলা করা সম্ভব। তাদের মতে, সেই সাথে সামাজিকভাবে সবাইকে সতেচন হলে সামাজিক অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

তথ্য মতে জানা যায়, বতর্মান সামাজিক অপরাধের সবচেয়ে বেশি শিকার হন, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট, নারী ও শিশুরা। এদিকে, রাজনৈতিক অপরাধ বা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন বেশির ভাগ পুরুষরাই এটাও বর্তমান সামাজিক অপরাধের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বললেই চলে।

অন্যদিকে, সামাজিক অপরাধের বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, সরকার ইচ্ছা করলে সামাজিক অপরাধ দমন করতে পারে না, যার কারণে রাষ্ট্রের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সামাজিক ভারসাম্যহীনতা ও অস্থিরতা দূর করতে হবে। তরুণ ও যুব সমাজ যাতে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে সম্পৃক্ত হতে পারে, সেই সুযোগ ও বাতাবরণ সৃষ্টি করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সরকারের সাথে সাথে জনগণকেও এগিয়ে আসাটা অনেক জরুরি।

অপরাধবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, ৫০ বছরে সামাজিক অপরাধের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে এখনকার অপরাধ হলো ধ্বংসের অপরাধ। নির্মমতা, নৃশংসতা, অপরাধ ও পাশবিকতা অপরাধ, সামাজিক অস্থিরতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, বিচারহীনতা, প্রযুক্তির প্রসারের ফলেই ঘটছে এসব ঘটনা। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এসব বিষয় আমলে নিয়ে কাজ করতে হবে। সেই সাথে সামাজিকভাবে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

তাদের মতে, নাগরিকের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্র তথা সরকারের-এ কথা সত্য। কিন্তু ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে নাগরিক নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্র বা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। কোনো দেশেই এটি সম্ভব হয়নি। কিন্তু যা সম্ভব, তা হচ্ছে নাগরিক অধিকার খর্ব হলে বা নাগরিকের বিরুদ্ধে অপরাধ হলে তার প্রতিকার করা। শুধু বিচার বিভাগই করে না। বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার কায়েমের একটি নিয়ামক প্রতিষ্ঠানমাত্র। এর সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আরো নানা অনুষঙ্গ ও প্রতিষ্ঠান। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব ও রয়েছে আর এর সাথে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই কিছুটা হলেই সামাজিক অপরাধ রোধ করা যাবে।

বর্তমানে দেশে যে সামাজিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে তাতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অশান্তি, হানাহানি ও উন্মাদনা বাড়ার কারণে অনেকে হতাশায় ডুবে যায়। সেই হতাশা থেকেই ক্ষোভের সৃষ্টি। এই হতাশা ও ক্ষোভের কারণে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে বড় ধরনের অপরাধ। যার কারণে অনেক সময় খুনখারাবি পর্যন্ত হয়ে যায়।

বর্তমান দেশে সামাজিক অপরাধের পরিস্থিতি কেমন? এই সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আপনার পরামর্শ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক ভোরের পাতাকে বলেন, যেকোনো দেশের সামাজিকভাবে কিছু অপরাধ থাকে। মানুষের জীবনের সাথে সেগুলো পরস্পর সম্পর্কিত, যেমন- কারো জিনিস না বলে ব্যবহার করা, ছোটখাটো জিনিস চুরি করা, অন্যের ভালো দেখতে না পারা। কিছু না জেনে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলা এগুলো সবকিছু আমাদের সামাজিক জীবন ব্যবস্থার সাথে তৈরি হয়ে আছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষের সাধারণত ১০ বছরের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসে। যেমন- সামাজিক দায়বদ্ধতা, আইন মেনে চলা, শারীরিকভাবে পরিবর্তন হওয়া, এসব পরিবর্তনের ফলে আগের ছোটখাটো অপরাধেরও পরিবর্তন ঘটে। তিনি বলেন, যেকোনো দেশে অপরাধের সঠিক বিচার-ব্যবস্থা ও আইনের প্রয়োগ থাকলে সামাজিক অপরাধ অনেক কম হয়। যেমন আমরা জন্ম থেকেই কিছু মানুষ ছোটখাটো সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। যার কারণে আস্তে আস্তে বড় হয়ে বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হন।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির কারণে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণ-তরুণীরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি গোপন রাখতে পারে। যার কারণে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন অপরাধ বাড়ছে। এগুলো সামাজিকভাবে প্রকাশ হয় না, তবে এটা সামাজিক অপরাধ, যার কারণে প্রযুক্তিগত অপরাধ বেড়েই চলছে।

তৌহিদুল হক বলেন, এদিকে, বর্তমান সমাজের একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করে না, এর কারণ হলো হয়তো অতিরিক্ত কাউকে বিশ্বাস করে সে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অথবা বিশ্বাস না করার কারণে, বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। যার কারণে মানুষের মন থেকে বিশ্বাসের মর্যাদা উঠে গেছে।

তিনি আরো বলেন, ৫০ বছর আগেও অনেক ধরনের অপরাধ ছিল সেই সমস্ত অপরাধের বিচার সামাজিক অনুশাসনের মাধ্যমে হতো। তখন কার অপরাধ ছিল সামাজিকভাবে বিরাজমান। আর এখনকার অপরাধ ছড়িয়ে যায়। তাছাড়া, এখনকার অপরাধ হলো ধ্বংসের অপরাধ, যেমন- প্রতারণা, গুম, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন। এ সমস্ত অপরাধ ৫০ বছর আগে তেমনটা ছিল না বর্তমান এই অপরাধ বেশি হচ্ছে। যার কারণে সামাজিক অপরাধ বাড়ছে।

এ ধরনের অপরাধ প্রতিকারের জন্য, দেশে আইনের শাসন ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু প্রয়োগ খুব জরুরি। বর্তমান একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসে না। মানুষের সহযোগিতার মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে। সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বস্তুনিষ্ঠভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের সামাজিক ভাবে নাগরিকদের সচেতন হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে না, যার কারণে আমরা সামাজিক অপরাধের শামিল হচ্ছি। যেমন কিছু মানুষ অন্য দেশের সাংস্কৃতিক চর্চা করে এবং তা পরিবারের ওপর প্রয়োগ করে। এ জন্য সামাজিক অপরাধ বেড়ে চলছে। এ ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে হবে। দেশের নাগরিকদের ব্যক্তির স্বার্থের বাইরে রাখতে হবে। খারাপ বৈশিষ্ট্যকে বাতিল করতে হবে এবং সামাজিকভাবে সচেতন করতে হবে তাহলেই সামাজিক অপরাধ অনেকটা কমে যাবে।

তৌহিদুল হক বলেন, আমাদের দেশের সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২টি আইন প্রয়োগ করা হয় একটি লিখিত ও অলিখিত আইন। ৫০ বছর আগে সামাজিক অনুশাসনের মাধ্যমে অলিখিত আইন প্রয়োগ করা হতো। তখন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ছিল, বর্তমান সেটি নাই। যার কারণে দিন দিন সামাজিক অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে, সামাজিকভাবে আমাদের দেশের মানুষ ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে বড় হচ্ছে না। যার কারণে সামাজিক অপরাধের সংখ্যা বেশি। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে পাড়ায়-মহল্লায় সামাজিক অনুশাসন তৈরি করা ও লিখিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। সেটি না হলে ৫০ বছর আগে অথবা পরে সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি (অপারেশন্স) পরিচালক ও মুখপাত্র ফয়জুর রহমান ভোরের পাতাকে বলেন, বিজিবি জন্ম থেকেই সীমান্ত এলাকায় সমাজিক অপরাধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে সবসময় সোচ্চার রয়েছে। সীমান্তে মাদক, নারী ও শিশু পাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান দমনে বিজিবি বিশেষ ভূমিকা রাখে। সীমান্তে সামাজিক অপরাধের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কাজ করে যাচ্ছে।

সীমান্তে সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আপনাদের পরামর্শ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তে সামাজিক অপরাধ দমনে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে জনপ্রতিনিধিদের জনসচেতনতার কার্যক্রম বাড়াতে হবে তাহলে সীমান্তে সামাজিক অপরাধ কিছুটাও হলে রোধ করা সম্ভব।

সামাজিক অপরাধের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এসবির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সবসময়ই সামাজিক অপরাধ এর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কাজ করে। বর্তমান সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পরামর্শ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সম্প্রতি পুলিশের একটি বিশেষ দায়িত্বে বদলি হয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে আগে অনেক কথা বলেছি এখন এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

 

এ বিষয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ভোরের পাতাকে বলেন, সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব যথেষ্ট ভূমিকা নিয়ে কাজ করে। সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার কোনো বিকল্প নাই। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের র‌্যাবের লিগ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব মিডিয়া পরিচালক আশিক বিল্লাহ ভোরের পাতাকে বলেন, এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি এ অপরাধের শিকার হবেন তাকে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানাতে হবে। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসলেই এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সবচেয়ে আমাদের দেশে প্রতারণার ফাঁদ বেশি। যার কারণে মানুষ সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সম্মুখীন হয় ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। সকল অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে সামাজিক অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের পরামর্শ হলো আগে থেকেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। যেকোনো ধরনের অপরাধ সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরে আনলে সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা  ‘ভোরের পাতাকে’  বলেন, অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে ভৌগলিক অবস্থান, আবহাওয়া ও জলবায়ু, অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ নানা বিষয়ের প্রভাব থাকে।

সামাজিক অপরাধ সামগ্রীকভাবে একটি সমাজের প্রচলিত ধ্যান ধারণা, আচার-আচরণ, বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। সে হিসেবে সামাজিক অপরাধ দূর করতে হলে সমাজের এ ক্ষেত্রগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে, যার জন্য সমাজের সকলের এগিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে পুলিশ অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া ইফতেখারুল ইসলাম ‘ভোরের পাতাকে’  বলেন, সামাজিক অপরাধের বিষয় নিয়ে পুলিশ নিজ দায়িত্বে কাজ করে যাচ্ছে। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হয়। যেমন উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কাযর্ক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। যার কারণে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যেতে পারে। পুলিশ সাধারণ মানুষ কাছাকাছি যাওয়ার কারণ হলো মানুষকে সচেতন করা এবং সামাজিক অপরাধ থেকে দূরে রাখা। পুলিশের এমন সব পদক্ষেপ গুলো সামাজিক অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, অনেক ধরনের সামাজিক ও পারিবারিক অপরাধ আছে যা আমাদের কাছে না বললে আমরা জানতে পারি না। এ ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক অনেক অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য জনসচেতনতার বিকল্প নাই যার কারণে পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ করে। এবং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অপরাধ দমনের জন্য সক্রিয়ভাবে যেকোনো বিষয়ে আমলের নিয়েই আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জনসচেতনতার বিকল্প নাই। এ ধরনের অপরাধের কেউ সম্মুখীন হলে সাথে সাথে আইনের আশ্রয় নিলে নিকটস্থ পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ করে যার ফলে এসব সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় বলেও উল্লেখ করেন এডিসি ইফতেখারুল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের  কর্মকর্তারা ‘ভোরের পাতাকে’   বলেছেন, কোস্টগার্ড সমুদ্র সৈকত ও উপকূলীয় এলাকা, মৎস্য থেকে শুরু করে অর্থাৎ কোস্টগার্ড সমন্বিতভাবে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে তার পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

 

ভোরের পাতা/বিআথী

এই বিভাগের আরও খবর