করোনায় বৈশ্বিক আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৭৭ লাখ

সময়: 11:13 am - June 13, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 103 বার
করোনায় বৈশ্বিক আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৭৭ লাখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) স্তব্ধ গোটা দুনিয়া। মহামারি মোকাবিলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা বিধি নিষেধ। যদিও কিছু দেশ সংক্রমণ কমতে থাকায় লকডাউন শিথিল করছে। তারপরও এতে পুরো দুনিয়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এরপর চারমাস পেরোলেও নিয়ন্ত্রণের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মারা গেছে প্রায় ৪ লাখ ২৮ হাজার, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৭ লাখ। তবে এর মধ্যেও আশার ব্যাপার হলো এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে সাড়ে ৩৯ লাখ মানুষ।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৭৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৮৬ হাজার ২৪১ জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৬২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬০৩ জনের।

বিশ্বে বর্তমানে ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৮৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৪০১ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর বাকি ৫৩ হাজার ৮৮৮ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছে।

এই ভাইরাসটিতে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২১ লাখ ১৭ হাজার ২৭, সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৬, মারা গেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৩১ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

আর যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে, সেগুলো হলো- ব্রাজিলে আক্রান্ত ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯০২, সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৬১০, মারা গেছে ৪১ হাজার ৯০১ জন। রাশিয়ায় আক্রান্ত ৫ লাখ ১১ হাজার ৪২৩, সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭০, মারা গেছে ৬ হাজার ৭১৫ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ২ লাখ ৯২ হাজার ১৪৩, মারা গেছে ৪১ হাজার ৪৮১ জন। স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৯০ হাজার ২৮৯, মারা গেছে ২৭ হাজার ১৩৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫, মারা গেছে ৩৪ হাজার ২২৩ জন। পেরুতে আক্রান্ত ২ লাখ ২০ হাজার ৭৪৯, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ১৩৩, মারা গেছে ৬ হাজার ৩০৮ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৫১, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০০, মারা গেছে ৮ হাজার ৮৬৩ জন।

এছাড়া ইরানে আক্রান্ত ১ লাখ ৮২ হাজার ৫২৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯, মারা গেছে ৮ হাজার ৬৫৯ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৭৫ হাজার ২১৮, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ১০২, মারা গেছে ৪ হাজার ৭৭৮ জন। চিলিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৮৪৬, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৮, মারা গেছে ২ হাজার ৮৭০ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৮৭, সুস্থ হয়েছে ৭২ হাজার ৫৭২, মারা গেছে ২৯ হাজার ৩৭৪ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৬, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৭, মারা গেছে ১৬ হাজার ৪৪৮ জন। কানাডাতে আক্রান্ত ৯৭ হাজার ৯৪৩, সুস্থ হয়েছে ৫৮ হাজার ৫২৩, মারা গেছে ৮ হাজার ৪৯ জন।

এদিকে, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮৩ হাজার ৭৫, সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ৩৬৭, মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্ত ৬১ হাজার ৯২৭, সুস্থ হয়েছে ৩৫ হাজার ৬, মারা গেছে ১ হাজার ৩৫৪ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৫৯ হাজার ৮১৯, সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৪৯৮, মারা গেছে ৯ হাজার ৬৪৬ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৪৬১, মারা গেছে ৬ হাজার ৫৩ জন। সুইডেনে আক্রান্ত ৪৯ হাজার ৬৮৪, মারা গেছে ৪ হাজার ৮৫৪ জন। ইকুয়েডরে আক্রান্ত ৪৫ হাজার ৭৭৮, সুস্থ হয়েছে ২২ হাজার ৬৭৯, মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। কলম্বিয়ায় আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৮৫৮, সুস্থ হয়েছে ১৮ হাজার ৭১৫, মারা গেছে ১ হাজার ৫৪৫ জন। মিশরে আক্রান্ত ৪১ হাজার ৩০৩, সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ১০৮, মারা গেছে ১ হাজার ৪২২ জন। পর্তুগালে আক্রান্ত ৩৬ হাজার ১৮০, সুস্থ হয়েছে ২২ হাজার ২০০, মারা গেছে ১ হাজার ৫০৫ জন।

অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত ৩৬ হাজার ৪০৬, সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ২১৩, মারা গেছে ২ হাজার ৪৮ জন। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ৩১ হাজার ৬৩, সুস্থ হয়েছে ২৮ হাজার ৮০০, মারা গেছে ১ হাজার ৯৩৮ জন। পোলান্ডে আক্রান্ত ২৮ হাজার ৫৭৭, সুস্থ হয়েছে ১৩ হাজার ৮০৫, মারা গেছে ১ হাজার ২২২ জন। আয়ারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৫ হাজার ২৫০, সুস্থ হয়েছে ২২ হাজার ৬৯৮, মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন। ফিলিপাইনে আক্রান্ত ২৪ হাজার ৭৮৭, সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৪৫৪, মারা গেছে ১ হাজার ৫২ জন। রোমানিয়ায় আক্রান্ত ২১ হাজার ৪০৪, সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৪০৫, মারা গেছে ১ হাজার ৩৮০ জন।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৯ হাজার ৬০৩, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩০, মারা গেছে ৮ হাজার ৮৯০ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৫, সুস্থ হয়েছে ৫০ হাজার ৫৬, মারা গেছে ২ হাজার ৫৫১ জন। বাংলাদেশে আক্রান্ত ৮১ হাজার ৫২৩, সুস্থ হয়েছে ১৭ হাজার ২৪৯, মারা গেছে ১ হাজার ৯৫ জন।

প্রসঙ্গত, এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, বারবার কাঁপুনি, পেশিতে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া। তাই এগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর