ভেন্ডর সিসকো ও বুয়েটের আইসিটি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছে মাফিয়াচক্র!
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভেন্ডর সিসকো ও বুয়েট হতে নিযুক্ত কনসালটেন্টের যোগসাজশে আইসিটি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছে মাফিয়াচক্র।
সাম্প্রতিক সময়ের আরো কিছু টেন্ডারের ন্যায় খাদ্য অধিদফতরের ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ সিস্টেম’ টেন্ডারেও একটি অসাধু চক্র কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিগত কয়েকটি সরকারি টেন্ডারে বাইরে থেকে নিযুক্ত কনসালটেন্ট/টেকনিক্যাল এক্সপার্ট বুয়েটের আইসিটির সিস্টেম এডমিন সাজ্জাত ও সিসকো টিম মিলে শুধুমাত্র সিসকো যেন অংশগ্রহণ করতে পারে এবং অন্যরা অংশগ্রহণ করলেও টেকনিক্যালি ডিসকোয়ালিফাই করে এভাবে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন সাজানো হয়েছে।
এদিকে সিসকো শুধুমাত্র তার পছন্দের লোকাল এজেন্টকে প্রাইজ কোটেশন দেয়। অন্যদেরকে কোন প্রাইজ কোটেশন দেয় না। এমনকি প্রস্তুতকারকদের সনদও দেয় না। তাই শুধুমাত্র সিসকো তাদের পছন্দমত লোকাল এজেন্টকে দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেয়।
প্রচলিত আছে এর বিনিময় বাহিরের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, সিসকো লোকাল এজেন্ট, সিসকো বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বিশাল আর্থিক সুবিধা নিয়ে এ ন্যাক্কারজনক কাজ করছে। ফলে ক্রয়কারী সংস্থা অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে পণ্য বা সেবা কিনতে হচ্ছে এবং ঘটনার আড়ালে থেকে ওই সুবিধাবাদী লোকজন বিশাল অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে।
এ চক্রটি স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘মডার্নাজিং অ্যান্ড কম্পিউটারাজিং অব ৩২৮ পৌরসভা’ টেন্ডারের অনুরুপ কাজ করার কারণে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এ চক্রটি অনুরুপভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে।
খাদ্য অধিদফতরের ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ সিস্টেম’ টেন্ডারে শিডিউল ক্রয়কারী কোম্পানিগুলো সিসকোর কাছে প্রাইজের জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোন প্রাইজ বা প্রস্তুতকারকের সনদ দেয়নি। তারা একমাত্র তাদের পছন্দের লোকাল এজেন্ট ছাড়া আর কাউকে প্রাইজ ও প্রস্তুকারকের সনদ দেবে না, যা প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ও পিপিআর’র পরিপন্থী।
প্রতিটি দরপত্রেই সমজাতীয় পণ্য ও সেবা সরবরাহকারী সকল কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়, যাতে করে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে উৎকৃষ্ট পণ্য সর্বনিম্ন মূল্যে ক্রয় করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে শুধুমাত্র টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনে সিসকো’র পণ্যের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ পাচ্ছে না এবং উপরন্ত সিসকো শুধুমাত্র তার পছন্দের লোকাল এজেন্টকে প্রাইজ দিচ্ছে সিসকো’র অন্য লোকাল এজেন্ট প্রাইজ পাচ্ছে না।
তথ্য মতে জানা যায়, সর্বোপরি সরকারি দরপত্রে ভেন্ডর সিন্ডিকেট তৈরি করে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিসকো বাংলাদেশের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
ভোরের পাতা/আইকে/টিএ