বায়তুল মোকাররামে কয়েক হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে রাজধানীতে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ
ঢাকা: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কে ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদে পবিত্র জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) জুমা শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে কয়েক হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে একটি বিক্ষোভ বের হয়। এ বিক্ষোভের আয়োজন করে ইসলামী দলগুলো।
বিক্ষোভ মিছিলটি বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন, কাকরাইল, বিজয়নগরসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তার স্লোগান দিতে থাকেন, ‘বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘ম্যাঁকোর চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, মুসলমান জেগেছে’, ‘বয়কট বয়কট, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, ফ্রান্সের দূতাবাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপন করা, বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের দূতাবাস সরিয়ে নিতে সরকারকে যথাযথ প্রদক্ষেপ নিতে বলেন বক্তরা।
এছাড়া রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা জুমা নামাজ শেষে বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে চলে আসেন। এতে করে বিক্ষোভে হাজারো মুসল্লির সমাগম হয়।
একই সময়ে লালবাগ মসজিদ থেকে মিছিল করে সাধারণ মুসুল্লিরা। পলাশীর মোড় ঘুরে এ মিছিল সমবেত হয় শহীদ শাহ মাজারে। পথে পথে বিভিন্ন মসজিদ থেকে সাধারণ মানুষ যোগ দেন এ বিক্ষোভে। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।
এরআগে গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি স্কুলে শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ ওই কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেন।
পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত এবং বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুনের প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।