ইবির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট ১৫৭ কোটি টাকা
ইবির : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জন্য বরাদ্দ দিয়েছে ১৫৭ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। মোট বাজেট থেকে গবেষণার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা। চলমান অর্থবছরে গবেষণায় একই বাজেট ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গবেষণার জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ছিদ্দিক উল্লাহ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাজেট ছিল ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ। তা ইউজিসি সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৫৩ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। কমিশন ২০২০-২০২১ অর্থসালের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে ১৫৭ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। দুই অর্থসালের জন্য নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ১১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া গেছ যা এর আগে পাওয়া যায়নি। বিগত প্রশাসনের বিধিবহির্ভূত নিয়োগ দেয়া ১২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুমোদনও নিয়েছেন বর্তমান প্রশাসন। চলতি অর্থসালে ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনুমোদন পাওয়া গেছে এবং এই প্রথম স্কুলটির জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। চলিত অর্থ বছরের ১টি ডাবল ডেকার বাস এবং ২০২০-২১ অর্থ সালে ২টি ডাবল ডেকার বাস ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসনের চার বছরের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আমাদের চাহিদা মোতাবেক সর্বোচ্চ বাজেট প্রদান করেছেন। মূল বাজেট ও সংশোধিত বাজেটে এই পরিমাণ বরাদ্দ এই যাবতকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ঘটেনি।
বাজেটের উল্লেখযোগ্য তিনটি বিষয় হচ্ছে ২০১২ সাল থেকে এর আগের প্রশাসন ১২৩ জনকে যে বিধিবহির্ভূত যে নিয়োগ দিয়েছিল সেটার কোনো অনুদান আমরা পাইনি তা এবারের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ইবি ল্যাবঃ স্কুল মূল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বাজেট ঘাটতির অন্যতম কারণ পরিবহন। এই বছরেই আমরা তিনটি ডাবল ডেকার কিনার টাকা পেয়েছি।
এবারের যে বাজেট ও সংশোধিত বাজেট এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও সন্তোষজনক। এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের দীর্ঘ চার বছরের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা চর্চার ফসল হিসেবে আমি মনে করি।’
আগের প্রশাসনের সময় বাজেট ছিল ৮৪ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বর্তমান প্রশাসনের প্রায় ৪ বছরের আর্থিক শৃঙ্খলা দেখে এমন বাজেট দিয়েছেন। ১৯টি গুরুতর অডিট আপত্তি নিয়ে উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী দায়িত্ব শুরু করেন। বর্তমানে অডিট আপত্তি একদম শূন্য বলে জানান উপাচার্য।