করোনায় হেরে গেলেন সত্তর দশকের গোলমেশিন নওশের
স্পোর্টস: সত্তর দশকে ফুটবল মাঠের লড়াইয়ে স্ট্রাইকরার নওশেরুজ্জামান ছিলেন কাজি সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী। স্ট্রাইকার হিসেবে শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে সালাউদ্দিনকে একবার হারিয়ে দিয়ে হয়েছিলেন সর্বাধিক গোলদাতা।
১৯৭৫ সালে সর্বাধিক ২১ গোল করা এই গোলমেশিন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিকামী বাঙালীদের বার্তা পৌছে দিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে খেলেছেন ভারতে। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল দলেরও সদস্য তিনি।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার করোনার সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত মানলেন হার।সালাউদ্দিনরা যেখানে ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে লড়ছেন, সেখানে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সঙ্গে লড়ে হেরে গেলেন নওশের।
কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ায় সাবেক কৃতি ফুটবলারকে প্রথমে নেয়া হয় মুগদা হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ খালি না পাওয়ায় পরে নেয়া জয় গ্রিনলাইফ হসপাতালে। সেখানে চিকিৎসায় তার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তাকে ভর্তি করানো হয় ইবনে সিনা হাসপাতালে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সেখানে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ছিলেন আইসিউইতে। পরে লাইফ সাপোর্টে চলে গেলে সেখান থেকে আর সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারেননি। সোমবার রাত ৯টায় করোনা কেড়ে নিয়েছে তার প্রান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজেউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
মৃত্যুকালে নওশেরউজ্জামান এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-পরিজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।নওশেরুজ্জামানের পর কোভিড-১৯এ সংক্রমিত হয়েছেন তার স্ত্রীও। তিনি আছেন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নওশেরুজ্জামানের নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হবে চাঁদপুরে পারিবারিক কবরস্তানে।