নেপালের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় টিকে থাকতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে পারেন
ঢাকা: নেপালে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আসরে নেমেও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির গদি বাঁচাতে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে চীনকে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ইস্তফা দিতে হলে শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিকে দু’টুকরো করে ফেলার হুঁশিয়ারিও দিয়ে ফেলেছেন ওলি।
এই অবস্থায় নিজের চেয়ার বাঁচানোর জন্য দেশে ‘স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা’ জারি করার কথা ভাবছেন তিনি। দেশে ‘করোনা মহামারীর মোকাবিলায়’ এই ব্যবস্থা নিতে চান ওলি।
সূত্রের খবর, ইতোমধ্যে দেশে ‘স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা’ জারি করার এই পরিকল্পনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে দেখা করেছেন ওলি। যদিও এই পরিকল্পনায় এখনও সম্মতি দেননি রাষ্ট্রপতি। পরিবর্তে বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে তার সঙ্গে অন্যদের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে।
রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, একতরফা বিদেশনীতির জন্য দলের ভিতরেই চরম বিরোধিতার মুখে পড়েছেন ওলি। এককালের কমরেড তথা ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’র চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহাল আজ ওলির সবথেকে বড় বিরোধী। ফলে দল এখন দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সেজন্যই এখন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করতে চান ওলি। তাহলে আপাতত কিছুদিনের জন্য নিজের গদি বাঁচাতে পারবেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ওলির জরুরি অবস্থা লগু করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নেপালের সেনাবাহিনী। গত বুধবারও ওলি ও দাহালের মধ্যে দু’ঘণ্টা নিষ্ফলা বৈঠক হয়। আজ শুক্রবার শাসকদলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক রয়েছে। কিন্তু সেখানেও মাধব নেপালসহ অধিকাংশ সদস্য ওলির বিপক্ষে। প্রস্তাব পাশ করাতে গেলে ওলি ও দাহালের সই লাগবে। যদি এখানে প্রস্তাব পাশ হয়, তা যাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে, যেখানে ওলির সমর্থকরা সংখ্যালঘু। ফলে জরুরি অবস্থা লাগু হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।